আন্তর্জাতিক বার্তা:
করোনার প্রভাবের ফলে র্দীঘ দিন ধরে সারা দেশে সীমান্ত বন্ধ ছিলো, কিন্তু করোনার প্রভাব অনেক টা কমার ফলে সকল দেশের ন্যায় বিদেশিদের জন্য সীমান্তু খুলছে মালয়েশিয়া।
বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ বলেছে, দেশের পর্যটন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সীমান্ত পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।
টিকাদান কর্মসূচি জোরদারের ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ধীর হওয়ায় গত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে অর্থনীতি পুনরায় চালু করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশ। মালয়েশিয়ার সরকারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশটির ৩ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশের বেশিকে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচির নেতৃত্বদানকারী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মহিদ্দিন ইয়াসিন বলেছেন, বিদেশিদের ছাড়া দেশের পর্যটন শিল্পের পুনরুদ্ধার অত্যন্ত ধীরগতিতে হচ্ছে। অপারেটরদের ব্যবসা পুনরায় শুরু করার জন্য সময়ের দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, করোনা পরীক্ষার মতো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা বহাল থাকবে। এছাড়া বিদেশিদের নিজ দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রবেশাধিকার নির্ধারণ করবে কর্তৃপক্ষ।
তবে ঠিক কবে সবকিছু পুরোপুরি খুলে দেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তারিখ ঘোষণা করেননি ইয়াসিন। দেশটির স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চলতি সপ্তাহে প্রতিবেশি সিঙ্গাপুরের সঙ্গে টিকা নেওয়া লোকজনের জন্য কোয়ারেন্টাইন-মুক্ত ভ্রমণ ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। এই ঘোষণা অনুযায়ী, টিকা নেওয়া নাগরিকরা কোনও ধরনের কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই উভয় দেশ ভ্রমণে যেতে পারবেন। ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও একই ধরনের ভ্রমণ করিডর পর্যায়ক্রমে চালু করা হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটি।
বিএসডি/এসএইচ