মিয়ানমারের আরও দুই উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র। তারা হলেন- লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোয়ে মিন্ট তুন এবং জেনারেল মং মং কিয়াউ। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হত্যাকাণ্ড ঘটানোয় তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলো যুক্তরাষ্ট্র।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন টুইটারে লিখেছেন, ‘আজকের এই নিষেধাজ্ঞা সহিংসতা ছড়ানো এবং জনগণের ইচ্ছা দমনের চেষ্টা করা মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের জবাবদিহি বাড়ানোর আরেকটি পদক্ষেপ।’
এদিকে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন। পাশাপাশি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে গতকাল সোমবার প্রায় অচল হয়ে পড়ে মিয়ানমার। বন্ধ থাকে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জান্তা সরকারের হুমকি উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর সোমবারই দেশটিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাইরের দুনিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সামনে সমবেত হয় বিক্ষোভকারীরা। আজ মঙ্গলবারও বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে।
গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভরত এসব মানুষের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকার। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস ব্রাসেলসে বলেছেন, ‘আমরা দাঁড়িয়ে থেকে দেখার জন্য প্রস্তুত নই।’ কূটনৈতিক উদ্যোগ ব্যর্থ হলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যেসব ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত আছে সেগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে দেশটির দরিদ্র শ্রমিকদের আক্রান্ত করতে পারে এমন সব বাণিজ্য সীমিত করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে জোটটি।