নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন সম্ভব। এজন্য ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি এধরণের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দাঁড়িয়ে বৈষম্যমুক্ত একটি শোষণহীন সমাজ গড়ার কাজে দেশের যুব সমাজকে নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জরিনা শিকদার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ শাহ আলম খান। বিএনপিএস’র ঢাকা পশ্চিম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, ধানমন্ডি থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাহহার, মোহাম্মদপুর থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাজু আহম্মেদ, সাংবাদিক সাকিলা পারভীন এবং উন্নয়কর্মী করিমুন্নেছা আকন্দ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আবারো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়টি সামনে এসেছে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে নারীর ক্ষমতায়নে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের কাজে আগ্রহী করে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ধরণের বিতর্ক প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই পারে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন করতে’ শীর্ষক স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী পাঁচটি বিদ্যালয়ের ৩০ জন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ক্রেষ্ট, সার্টিফিকেট এবং শ্রেষ্ঠ বক্তাদের মেডেল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, জরিনা সিকদার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, লরেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, কচিকণ্ঠ উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসডি/ এলএল