মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোক্তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সঙ্গবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. নাজির হোসেন উরফে নাজিম মোড়ল, মো. ফয়সাল উরফে জুয়েল ও মো. মিলন। তাদের তিনজনের বাড়ি লৌহজং উপজেলার মশদগাঁওয়ে।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ধারালো চাকু, লাইটার পিস্তল ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২১ নভেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।
তিনি জানান, হত্যার ঘটনায় মামলার পর থেকেই থানা পুলিশের কয়েকটি টিম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার কয়েকটি টিম একসাথে কাজ করে। প্রযুক্তির সহায়তায় ও ম্যানুয়াল তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, মূলত ছিনতাইয়ের উদ্দ্যেশেই এ ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইকারীদের কাছে খবর ছিল ওইদিন বারেক ব্যাংক থেকে টাকিা উত্তোলন করবেন। তবে ঘটনাচক্রে সেদিন কোনো টাকা উত্তোলন করেননি তিনি। ওই দিন ব্যাংক থেকে ফেরার পথেই তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এঘটনায় যেসব আলামত ব্যবহার করা হয়েছে তার সবগুলোই উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগেও চক্রটি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ওই সড়কটি কিছুটা নিরিবিলি। আমরা চেষ্টা করছি ওই জায়গাগুলোকে এলাকার লোকজনের সহায়তায় সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা যায় কি না। ঝোপঝাড় পরিস্কার করে কমিউনিটি পুলিশ বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৭ই নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায়ে ব্যাংক থেকে ফেরার পথে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বলই এলাকায় বালিগাঁও-টঙ্গীবাড়ী সড়কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বারেক শেখকে (৪৪)। নিহত বারেক ময়মনসিংহ জেলার মোস্তফা শেখের ছেলে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার রংমেহার এলাকায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন এবং হাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উদ্যোক্তার সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একইদিন নিহতের পিতা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিএসডি/এসএসএ