নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে বাখরনগর ও পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি বাসের টিকিট কাউন্টার ও দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত ও শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ফারজানা পরিবহন নামে বাসের ড্রাইভার সোহেলের সাথে মনিরুল হক নামের এক সাংবাদিক ও তার ড্রাইভার শফিকের কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। পরে সাংবাদিক মনিরুল হকের পক্ষে মুরাদনগরের বাখরনগর গ্রামের কিছু লোকজন ফারজানা পরিবহনের কাউন্টারের সামনে এসে ড্রাইভার ও হেলপারদেরকে মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে বাখরনগর গ্রামের লোকজন ফারজানা পরিবহন বাসের কাউন্টার ভাঙচুর করেন।
ওই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকায় মহড়া দেয় দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলা বাড়ি গ্রামের লোকজন। একই সময় বাখরনগর গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে ভিংলা বাড়ি গ্রামের লোকজনকে ধাওয়া দিলে শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর কোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার উত্তর পাশে অবস্থান করে বাখরনগর গ্রামের লোকজন। আর দক্ষিণ পাশে অবস্থান নেয় ভিংলাবাড়ি গ্রামের লোকজন।
মুরাদনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ফারজানা পরিবহনের ড্রাইভার সোহেলের সঙ্গে মনির নামে এক সাংবাদিকের রাস্তায় গাড়ি ক্রসিং নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সাংবাদিক মনিরের ড্রাইভার শফিকের সঙ্গে ফারজানা পরিবহনের ড্রাইভার সোহেলের মারামারি হয়। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুই পক্ষই মিছিল করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।