নানা বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো জামালপুর-৪ আসনের এমপি ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় ঢুকতে দেয়নি দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি।
টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টা ১৫মিনিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে এ প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
ডা. মুরাদকে কেন কানাডায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি? কেন তাকে টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি?
এর জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মুরাদ হাসানকে কেন কানাডায় ঢুকতে দেওয়া হলো না, এ বিষয়ে এখনও কিছু জানি না আমরা।না জেনে এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না।’
বিষয়টি নিয়ে শনিবার ভোর থেকেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে।
যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক র্যা বের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগে দেখে নিই। কী উদ্দেশে করেছেন, কেন করেছেন তা আমরা দেখে নিই।’
এর আগে কানাডার স্থানীয় বাংলা অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ডা. মুরাদ হাসান আমিরাতের একটি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ৩১ মিনিটে টরন্টো পিয়ারসন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এসময় কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়।
বর্তমানে তিনি কোথায় অবস্থান করছেন এ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকেই বলছেন, তাকে মধ্যপ্রাচ্যগামী একটি বিমানে উঠিয়ে দিয়েছে টরেন্টো বিমানবন্দর।
তবে প্রবাসী বাংলাদেশি গণমাধ্যমের একটি সূত্র জানাচ্ছে, তিনি টরেন্টোতে ঢুকতে না পেরে মন্ট্রিয়ালে চলে গেছেন। এখন সেখানেই অবস্থান করছেন।
মুরাদকে কেন কানাডায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি প্রসঙ্গে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভাইরাল হওয়া তার সাম্প্রতিক অশোভন বক্তব্যের কারণে বিপুল সংখ্যক কানাডিয়ান নাগরিক অসন্তুষ্ট।কানাডায় তার প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন তারা। তাই কানাডায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
জিজ্ঞাসাবাদে মুরাদকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় বিমানবন্দরে।
উল্লেখ্য, নারীর প্রতি অশোভন ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ।
কোণঠাসা হয়ে দেশ ছাড়ার চেষ্ট করেন তিনি। গত পাঁচ দিন ধরে অগোচরে থাকা মুরাদকে এদিন রাত ৯টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ রজনীগন্ধায় দেখা যায়।
সে সময় বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এগুলো আমার জানা নেই। উনি বিদেশ যাবেন নাকি স্বদেশে থাকবেন, সেটা তার ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।’
বিএসডি/এসএস