নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাঁচা-মরার লড়াই। সুপার টুয়েলভে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। এমন এক সমীকরণ সামনে রেখে জ্বলে উঠেছেন টাইগার বোলাররা। বিগ হিটারের দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হাত খুলে খেলতেই দিচ্ছেন না মেহেদি-মোস্তাফিজরা।
পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেটে মাত্র ২৯ রান তুলতে পারে ক্যারিবীয়রা। টাইগারদের বোলারদের তোপ সামলে ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে মোটে ৪৮ রান করেছে কাইরন পোলার্ডের দল।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শুরুটা খারাপ করেননি বোলাররা। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৯ রান তুলতে পারেন ক্যারিবীয় দুই ওপেনার ক্রিস গেইল আর এভিন লুইস।
মোস্তাফিজুর রহমানের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলটিতেই সাফল্য পেতে পারতো বাংলাদেশ। বলে হালকা ব্যাট ছুঁইয়ে অনেকটা দৌড়ে গিয়েছিলেন গেইল। পরে রান হবে বুঝতে না পেরে ফেরত আসতে যান।
বল ধরেই পয়েন্ট থেকে জোরে থ্রো করেন সাকিব আল হাসান। উইকেটরক্ষক লিটন দাসও স্ট্যাম্পের কাছে চলে এসেছিলেন। কিন্তু সাকিবের থ্রো লিটনের দিকে ছিল না, ছিল স্ট্যাম্প বরাবর। সেটি মিস হলে বেঁচে যান গেইল।
তবে ওই ওভারেই মোস্তাফিজ ধাক্কা দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ওভারের শেষ বলটি তুলে মারতে গিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে দেন এভিন লুইস (৯ বলে ৬)। স্কয়ার লেগে দৌড়ে এসে সহজ ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম।
পঞ্চম ওভারে ভয়ংকর গেইলকে বোল্ড করেন শেখ মেহেদি হাসান। টাইগার অফস্পিনারের ঘূর্ণিতে ইনসাইডেজ হয়ে ১০ বলে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন ইউনিভার্স বস। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেটে মাত্র ২৯ রান তুলতে পারে ক্যারিবীয়রা।
পরের ওভারেই দারুণ একটি সুযোগ মিস করেন মেহেদি। রস্টন চেজ তাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই বল তালুবন্দি করতে পারেননি মেহেদি। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। পরের বলেই সিমরন হেটমায়ার (৯ বলে ৭) তুলে মারতে গিয়ে লংঅনে ক্যাচ হন সৌম্য সরকারের।
৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড আর জীবন পাওয়া রস্টন চেজ।
বিএসডি / আইকে