নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্ধারিত জমির বাহিরে কেরানীগঞ্জ এলাকার মানুষের জমি জোরপূর্বক ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে ম্যাক্সওয়েল হোমস অ্যান্ড প্রোপার্টিজ লিমিটেডের “ম্যাক্সওয়েল ওয়েস্টার্ন সিটির’ বিরুদ্ধে৷ একইসাথে পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সরকারি নীতিমালা মেনে চলছেনা বলেও অভিযোগ করা হয়েছে৷
সম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি সচিব বরাবর এক অভিযোগে এক ভুক্তভোগী এসব তথ্য জানিয়েছেন৷
অভিযোগে বলা হয়েছে, আমি ম্যাক্সওয়েল হোমস অ্যান্ড প্রোপার্টিজ লিমিটেডের “ম্যাক্সওয়েল ওয়েস্টার্ন সিটি” নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিজমিতে অবৈধ বালু ভরাট, পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই অননুমোদিত ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং রাউজক এর পারমিশন ছাড়াই অবৈধ আবাসন কার্যক্রম পরিচালনার একটি গুরুতর বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই প্রতিষ্ঠানটি রাউজকের কোনো প্রকল্প অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে, যা পরিবেশগত ক্ষতি, কৃষিজমির ব্যাঘাত এবং বিদ্যমান ভুমি আইনে লঙ্ঘন ঘটাচ্ছে। প্রকল্পের অবস্থান: গ্রাম- নিমতলী ও বেউতা, ইউনিয়ন- তারানগর, থানা- কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা- ঢাকা। প্রকল্পের নাম: ম্যাক্সওয়েল ওয়েস্টার্ন সিটি৷
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে ধরে ম্যাক্সওয়েলের অবৈধ কার্যক্রমের বিরূদ্ধে রাউজক কোনো স্পষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তবে আমরা জোরালোভাবে অনুরোধ করছি যে, ভুমি মন্ত্রণালয় এই অননুমোদিত ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধের ব্যাপারে কার্যকারী পদক্ষেপ নিবে। “ম্যাক্সওয়েল ওয়েস্টার্ন সিটি” এর কার্যক্রম পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করার পাশাপাশি বন্যার ঝুকি বাড়াচ্ছে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমিয়ে দিচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলছে।
এছাড়াও কোম্পানিটি হাউজিং প্রকল্পের নিয়ম, পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সরকারি নীতিমালা মেনে চলছে না। তারা ক্রেতাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করছে, এলাকার মানুষের জমি জোরপূর্বক ভরাট করছে এবং চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনৈতিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এই কার্যক্রম বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন, জলাভূমি সংরক্ষন আইন, রাউজকের নিময়াবলী এবং অন্যান্য প্রসাঙ্গিক আইনের লঙ্ঘন। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। ইতিমধ্যে অনেক ক্রেতা প্রতারণার শিকার হয়েছেন, যারা তাদের টাকা বিনিয়োগ করলেও প্রতিশ্রুত জমি পাচ্ছেন না। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ হিসেবে রাউজক এবং সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর উদাসীনতা অত্যন্ত দুঃখজনক।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আমি সদয়ভাবে অনুরোধ করছি যে আপনি অবিলম্বে এই অবৈধ কার্যক্রম তদন্ত করে দায়ী পক্ষগুলোর বিরূদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। আমাদের জমি, পরিবেশ এবং সম্ভাব্য ক্রেতাদের প্রতারণা থেকে রক্ষা করতে আপনার জরুরি হস্তক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।