এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহ উত্তোলনের কথা ছিল। কিন্তু লাশ উত্তোলন শেষ করতে রাত হয়ে যাবে ভেবে তা আর উত্তোলন করা হয়নি।
এদিকে লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ও ময়নাতন্তের জন্য আবেদন করা হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন। সেই কমিটির সদস্যরা হলেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশরাফুল আলম, চিকিৎসা কর্মকর্তা রুমন রহমান ও মাহফুজুর রহমান। বেলা দেড়টার দিকে তাঁরা মর্গে যান। পরে বেলা তিনটার দিকে আরএমও আশরাফুল আলম বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য একটি প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ফরেনসিক ময়নাতদন্ত করার জন্য কুষ্টিয়া হাসপাতালের মর্গে কোনো ব্যবস্থা নেই। এ জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে লাশ পাঠানোর অনুমোদন করা হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ছয় ঘণ্টা লাশ পড়ে থাকার পর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
লাশ তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদারের পাঠানো একটি চিঠি হাতে পান কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কুয়েট কর্তৃপক্ষ সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়।
গত ৩০ নভেম্বর সেলিম হোসেন মারা যান। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর লাশ কুষ্টিয়া কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়। মৃত্যুর আগে সেলিম হোসেনের ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
বিএসডি/ এলএল