নিজস্ব প্রতিবেদক:
আর মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি সারাবিশ্বে পালন করা হয় প্রতি বছর। দিনটিকে ঘিরে থাকে প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতর ও মহলের নানান প্রস্তুতি। গুরুত্বপূর্ণ এ দিসটি সন্নিকটে এলেও এখনো অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে নিয়ামতপুরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারটি। উপজেলার নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের এ শহিদ মিনারটির অবস্থান।
জানা যায়, প্রায় দুই যুগ আগে নির্মিত হয় শহিদ মিনারটি। নির্মাণের পর থেকেই শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শহিদ মিনারটির পাদদেশ এখন পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এলে কোনোরকম পরিষ্কার করা হলেও পরদিন থেকেই বাজারের সমস্ত ময়লা আবর্জনা শহিদ মিনারের পাদদেশ ও এর চারপাশে ফেলা শুরু হয়। এসব ময়লা আর্বজনা পঁচে হয় পরিবেশ দূষণ। অভিযোগ থাকলেও এ নিয়ে যেন মাথা ব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। ভাষা দিবসের মাসে শহিদ মিনারের এমন বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সাংস্কৃতিক কর্মীসহ উপজেলার বিশিষ্টজনরা শহিদ মিনার এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ এর দ্রুত রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার সরেজমিন দেখা গেছে, মিনারের পাদদেশ ও এর চারপাশে জমে রয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। স্কুল মাঠের প্রবেশদ্বারেই শহিদ মিনারটির অবস্থান হওয়ায় এর চারপাশে পড়ে থাকা নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনার পঁচা দুর্গন্ধে এর পাশ দিয়ে চলাচল এখন দায়।
স্থানীয় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাষা শহিদদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা মাতৃভাষা বাংলা পেয়েছি। আর ভাষা শহিদদের স্মৃতি ও আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ পাড়া-মহল্লায় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শহিদ মিনার তৈরি করা হয়। শহিদ মিনার শুধু একদিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নয়। শহিদ মিনার ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের দলিল। কোনো ক্রমেই এর অবহেলা কাম্য নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শহিদ মিনারটি রক্ষণাবেক্ষণসহ দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।