শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ইউরো খেলতে যাচ্ছে পর্তুগাল। সে লক্ষ্যে ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে তারা। দলে যথারীতি অধিনায়ক হিসেবে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
এই নিয়ে টানা পাঁচ ইউরো খেলা হয়ে যাবে রোনালদোর। আর মাত্র ছয়টা গোল করলে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের কীর্তি নিজের করে নেবেন তিনি। হয়তো এই ইউরোতেই সে রেকর্ডের স্পর্শ পাবেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার!
মোটামুটি প্রত্যাশিত সবাই ডাক পেয়েছেন কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের এই স্কোয়াডে। আক্রমণভাগে লিভারপুলের দিওগো জোতা, ম্যানচেস্টার সিটির বের্নার্দো সিলভা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ব্রুনো ফার্নান্দেস, আতলেতিকো মাদ্রিদের জোয়াও ফেলিক্স—সবাই আছেন।
ডাক না পাওয়ার তালিকাটাও বেশ দীর্ঘ। আর্সেনালের রাইটব্যাক সেড্রিক সোয়ারেস, স্পোর্তিং লিসবন আর নাপোলির অভিজ্ঞ দুই ডিফেন্ডার লুইস নেতো ও মারিও রুই, বার্সেলোনার সাবেক ডিফেন্ডার আন্দ্রে গোমেস, উলভারহ্যাম্পটনের প্রতিশ্রুতিশীল ফরোয়ার্ড পেদ্রো নেতো, এমনকি যার পা থেকে গতবার এসেছিল পরম আরাধ্য ইউরো শিরোপা, সেই এদেরকেও নেওয়া হয়নি দলে।
জুনের ১১ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ইউরো। দল নিয়ে কোচ সান্তোস বেশ আশাবাদী, ‘দলের খেলোয়াড়দের ওপর আমার অনেক ভরসা আছে। আমি নিশ্চিত শিরোপা ধরে রাখার জন্য আমার ছেলেরা শিরোপার অন্যতম দাবিদার।’
পর্তুগাল আছে গ্রুপ ‘এফ’-এ। গ্রুপটাকে মৃত্যুকূপ বললেও ভুল বলা হবে না। যে গ্রুপে পর্তুগালের সঙ্গী ফ্রান্স, জার্মানি আর হাঙ্গেরি—সে গ্রুপ মৃত্যুকূপ হবে না তো কোনটা হবে! জুনের ৪ তারিখে স্পেনের বিপক্ষে ও ৯ তারিখে ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামবেন রোনালদোরা।
দেখে নেওয়া যাক কে কে আছেন ২৬ সদস্যের এই দলে—
গোলকিপার
রুই পাত্রিসিও (উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স)
অ্যান্থনি লোপেস (অলিম্পিক লিওঁ)
রুই সিলভা (গ্রানাদা)
সেন্টারব্যাক
রুবেন দিয়াস (ম্যানচেস্টার সিটি)
পেপে (এফসি পোর্তো)
হোসে ফন্তে (লিল)
জোতা আর ফেলিক্সের ওপরেও ভরসা করে থাকবে পর্তুগাল
জোতা আর ফেলিক্সের ওপরেও ভরসা করে থাকবে পর্তুগালফাইল ছবি
ফুলব্যাক
জোয়াও ক্যানসেলো (ম্যানচেস্টার সিটি)
রাফায়েল গেরেইরো (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড)
নেলসন সেমেদো (উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স)
নুনো মেন্দেস (স্পোর্তিং লিসবন)
সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার
রুবেন নেভেস (উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স)
জোয়াও মুতিনিও (উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স)
দানিলো পেরেইরা (পিএসজি)
রেনাতো সানচেস (লিল)
সের্হিও অলিভিয়েরা (এফসি পোর্তো)
উইলিয়াম কারভালিও (রিয়াল বেতিস)
জোয়াও পালহিনিয়া (স্পোর্তিং লিসবন)
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার/উইঙ্গার
দিওগো জোতা (লিভারপুল)
ব্রুনো ফার্নান্দেস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
বের্নার্দো সিলভা (ম্যানচেস্টার সিটি)
জোয়াও ফেলিক্স (আতলেতিকো মাদ্রিদ)
গনকালো গেদেস (ভ্যালেন্সিয়া)
পেদ্রো গনকালভেস (স্পোর্তিং লিসবন)
রাফা সিলভা (বেনফিকা)
স্ট্রাইকার
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (জুভেন্টাস)
আন্দ্রে সিলভা (আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট)
উল্লেখযোগ্য যারা ডাক পাননি
সেড্রিক সোয়ারেস (রাইটব্যাক, আর্সেনাল)
লুইস নেতো (সেন্টারব্যাক, স্পোর্তিং লিসবন)
দমিঙ্গোস দুয়ার্তে (সেন্টারব্যাক, গ্রানাদা)
রিকার্দো পেরেইরা (রাইটব্যাক, লেস্টার সিটি)
মারিও রুই (লেফটব্যাক, নাপোলি)
আন্দ্রে গোমেস (সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার, এভারটন)
পেদ্রো নেতো (উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স)
ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাও (উইঙ্গার, বার্সেলোনা)
গেলসন মার্তিনস (উইঙ্গার, মোনাকো)