নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যারা বলছে পিআর বা অমুক তমুক, তারা আসলে নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে চায়। নির্বাচন না হলে আবার স্বৈরতন্ত্রে ফেরত যাওয়ার একটা লক্ষণ দেখা দেবে। কোনো কোনো মহল বুঝে কিংবা না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে। কারণ হাসিনা চায় না নির্বাচন হোক।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্যাতনের কারণে বেগম জিয়ার পুত্র কোকো মৃত্যুবরণ করেছেন। স্বৈরতন্ত্রের পতন মানে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। গণতন্ত্র ফিরে আসবে মানেই একটি নির্বাচন। গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ বলছে এক দলকে বাদ দিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়নি। স্বৈরতন্ত্রের পতন হলে গণতন্ত্র আসবে। গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য নির্বাচন করে যে কোনো দল ক্ষমতায় আসতে পারে। একটা দল কেন, যে কেউ, দেশবাসী যাকে ভোট সেবে সেই আসবে। তরুণদের দল এনসিপিকে ভোট দিলে তারাই ক্ষমতায় আসবে। মানুষ ভোট না দিলে এনসিপি আসবে কীভাবে। অন্য দল আসবে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গত ১০০ বছরে এমনভাবে কোনো পলাতক ব্যক্তির ইতিহাস নেই। শেখ হাসিনা যেভাবে পালিয়েছে, তার তো লজ্জায় ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়া উচিত। দেশনেত্রী বলেছেন- যে কোনোভাবে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে বিভেদ করা যাবে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা গণতন্ত্রে না ফিরি। নয়ত আমাদের পার্শ্ববর্তী একটা দেশ রয়েছে, তারা সারাক্ষণ আমাদের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছে, এখনো বলছে। আমাদের সবচেয়ে কুলাঙ্গার তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী এত টাকা চুরি করেছে, যা কেউ করে না। এতগুলো ছেলে মেয়েকে সে গণহত্যা করেছে অথচ তাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে।
দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক আলম সরদারের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান, বিএনপি নেতা এসকে সাদী, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে. এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান জুয়েল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রমুখ।