আন্তর্জাতিক
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইতালিতে উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পুলিশ প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পর গ্রেপ্তার হন লিবীয় বিচার বিভাগীয় পুলিশের এই প্রধান।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারি করার পর লিবিয়ার বিচার বিভাগীয় পুলিশের প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মিডিয়া রিপোর্ট বলছে।
লিবিয়ার এই পুলিশ কর্মকর্তার নাম ওসামা নাজিম। তিনি উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির মিটিগা আটক কেন্দ্রের পরিচালক ছিলেন। গত রোববার ইতালীয় শহর তুরিনে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিবিসি বলছে, লিবিয়ার বিভিন্ন কেন্দ্রে আটক থাকা সাবেক বন্দিরা ওসামা নাজিমের বিরুদ্ধে নিত্যনৈমিত্তিক নির্যাতন এবং ধর্ষণের মতো অপব্যবহারের কথা বর্ণনা করেছেন। ২০২২ সালে জাতিসংঘ বলেছিল, তারা দেশটিতে “গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের” প্রমাণ উন্মোচিত করেছে।
ইতালীয় সংবাদপত্র লা রিপাব্লিকা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের তথ্যের ভিত্তিতে ওসামা নাজিমকে একটি হোটেলে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে ইতালীয় অভিবাসী উদ্ধারকারী দাতব্য সংস্থা মেডিটেরানিয়া সেভিং হিউম্যানস বলেছে, আইসিসির “ব্যাপক” তদন্তের পরে “ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বছরের পর বছর অভিযোগ এবং সাক্ষ্য” নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আইসিসির একজন মুখপাত্র অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে বিবিসির প্রশ্নের জবাব দেননি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
মেডিটেরানিয়া সেভিং হিউম্যানস ইতালি ও লিবিয়ার মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী, বিতর্কিত চুক্তিরও সমালোচনা করেছে। ওই চুক্তির অধীনে অভিবাসীবাহী নৌকাগুলোকে আটকানোর জন্য লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে প্রশিক্ষণ এবং তহবিল যোগান দেয় ইতালি।
এই চুক্তির অংশ হিসাবে লিবিয়া দেশটির মধ্য দিয়ে যাওয়া এবং ইতালিতে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা হ্রাস করতে সহায়তা করে থাকে।
অ্যাটর্নি জেনারেল লুসিয়া মুস্তি লা রিপাব্লিকাকে বলেছেন, যে সময়ে ওসামা নাজিমকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন তিনি লিবিয়ার অন্যান্য নাগরিকদের সাথে ছিলেন এবং একটি স্টেডিয়ামে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
নাজিমের মামলাটি বিচার মন্ত্রণালয় এবং রোমের আপিল আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।