ধর্ম ডেস্ক:
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার নামের স্মরণে রয়েছে অনেক রহমত ও বরকত। অন্তরে প্রশান্তি লাভের অন্যতম হাতিয়ার হলো জিকির। কেননা অন্তরে সুখ ও শান্তি লাভের জন্য আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক ঘোষিত ও পরীক্ষিত চিকিৎসাও এটি। এ সম্পর্কে আল্লাহ ঘোষণা করেন-
‘যারা ঈমান গ্রহণ করেছে, আল্লাহর জিকির দ্বারা তাদের অন্তর শান্ত হয়। জেনে রাখ! আল্লাহর জিকিরের দ্বারাই তারা অন্তরে শান্তি লাভ করে।’ (সূরা: রাদ, আয়াত: ২৮)।
রাগ নিয়ন্ত্রণে আল্লাহর জিকিরের বিকল্প নেই। কেননা জিকির বা আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমেই মানুষ আশ্রয় চায়। যখনই রাগের ঘটনা ঘটে; তখনই আল্লাহর কাছে রাগ নিয়ন্ত্রণে ‘তাউজ’ পড়ার কথা বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবী। তাহলো-
أعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْم
উচ্চারণ : ‘আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম।’
অর্থ : ‘আমি আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।
হজরত সুলাইমান ইবনু সুরাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এই কথাগুলো বললে রাগান্বিত ব্যক্তির রাগ দূর হয়ে যাবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
তবে প্রচণ্ড রাগের সময় রাগ দমন করা এবং যার উপরে রাগ করা হয়; তাকে ক্ষমা করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আর এটি আল্লাহর রহমত, ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অন্যতম উপায়। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, রাগ অনুভব করলেই বেশি বেশি তাউজ তথা ‘আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম’ পড়ে হাদিসের উপর আমল করা।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে রাগ নিয়ন্ত্রণে হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন!
বিএসডি/আইপি