নিজস্ব প্রতিবেদক,
২০১১ সালে পাঠাগারটি উদ্বোধন হলেও এখন পর্যন্ত ওই সরকারি পাঠাগারে বই দেখা মেলেনি। প্রায় ১০ বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের মোটা অংকের টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ভোলাহাট উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার ভবন।
২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মুহঃ জিয়াউর রহমান ওই পাঠাগার ভবনটি উদ্বোধন করেন ।
উদ্বোধনের সময় যে সব চেয়ার-টেবিল ছিলো তাও নষ্ট হতে চলেছে। পাঠাগারে বই ও পাঠক না থাকলেও ভবনের এক পাশে উপজেলা ই-সেবা দিচ্ছেন শহিদুল ইসলাম। চত্বরের পাশে ভবনের গায়ে জ্বলজ্বল করে লেখা ভোলাহাট কেন্দ্রীয় পাঠাগার।
দীর্ঘদিন ধরে আকর্ষণীয় ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকলেও উপজেলার দায়িত্বশীলদের কারো চোখই যেন পাঠাগারটির দিকে পড়ছে না।
ভবনের ভিতর ই-সেবা দানকারী শহীদুল ইসলাম বললেন, ২০১১ সাল ভবন উদ্বোধনের সময় থেকে তিনি উপজেলা ই-সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, পাঠাগার ভবনটি উদ্বোধন থেকে এখন পর্যন্ত আমি দেখাশুনা করি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম মিজানুর রহমান বলেন, ভোলাহাটে কেন্দ্রীয় পাঠাগার কোথায় আছে তা আমার জানা নাই। উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার থাকলে তো পাঠাগার কমিটি থাকার কথা। কিন্তু এমন তথ্য আমার কাছে নাই।
তিনি বলেন, উপজেলায় আমার মোট ৪৭টি স্কুল রয়েছে। সব স্কুলে বঙ্গবন্ধু কর্ণার রয়েছে। সেখান থেকে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারে। ঠিক তেমনি ভোলাহাট উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার থাকলে মুক্তিযুদ্ধের বই, বঙ্গবন্ধুর উপর লেখা বই, ইসলামী বই, মহা মনিষীদের লেখা বই, কবিতা-গল্প, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষি, মৎস্য, সফলতা অর্জন বই, গবেষণা, পত্রিকাসহ বিভিন্ন বই রাখলে খুব ভালো হবে। বই পত্রিকা থাকলে কর্মকর্তা কর্মচারীরা পাঠাগারে গিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কাউসার আলম সরকার বলেন, আমিও পাঠাগারের ব্যাপারে কিছু জানি না।
এ বিষয়ে শেখ মেহেদী ইসলাম (ভূমি) বলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার ভবন আছে কি না আমিও জানি না। তবে পাঠাগার থাকা অবশ্যই প্রয়োজন।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক মো. রাব্বুল হোসেন বলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার আছে কি না তার জানা নেই। তবে পাঠাগার নামে ভবন আছে সেটি উপজেলা ই-সেবার উদ্যোক্তা শহীদুলের ভবন বলেই জানি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পালকে মুঠোফোনে রিং দিয়ে সাড়া না পাওয়ায়,খুদে বার্তা দিয়েও তার কোন হদিস মেলেনি।
বিএসডি/আইপি