আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনার উল্লম্ফনের মধ্যেই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন করতে যাচ্ছে ভারত। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন শুরু হচ্ছে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে।
ফলে ভোট নিয়ে শেষ মুহূর্তের হিসেব-নিকেশ শুরু হয়েছে সেখানে। লখনৌয়ের অট্টালিকা থেকে কানপুরের চায়ের দোকানে এখন ভোটের উত্তাপ।
একাধিক সংস্থা এরইমধ্যে সমীক্ষা শুরু করেছে যোগীরাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে। টাইমস নাউ-এর সমীক্ষা বলছে, বিজেপি এবার উত্তরপ্রদেশে ৩০০ আসন দখলে রাখতে পারবে না। ৪০৩ আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ২২৭ থেকে ২৫৪টি আসন।
তবে সমাজবাদী পার্টিসহ বাকিদের পেছনে ফেলবে যোগীর দল। সমাজবাদী পার্টির জোট পেতে পারে, ১৩৬ থেকে ১৫১টি আসন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস ভোটে ৬ থেকে ১১টি আসন পেতে পারে।
হাইভোল্টেজ এই বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদ ঘিরেও হয়েছে সমীক্ষা। টাইমস নাউয়ের ওপিনিয়ন পোল বলছে, যোগী আদিত্যনাথ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তার পক্ষে ভোট গেছে ৫৩.৪ শতাংশ।
এদিকে সিভোটারের সমীক্ষা বলছে, ৪০৩ এর মধ্যে যোগী শিবির দখলে রাখতে পারবে ২২৩ থেকে ২৩৫টি আসন। সিভোটারের সমীক্ষা বলছে, মায়াবতীর বিএসপি ৮ থেকে ১৬টি আসন পেতে পারে। কংগ্রেসের ৩টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশের বুকে শূন্যও পেতে পারে বলে সমীক্ষা দাবি করছে। অন্যান্যরা ৪ থেকে ৮ টি আসন পেতে পারে ৪০৩ আসনের এই বিধানসভা ভোটে।
অন্যদিকে এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বিজেপি আসন্ন ভোটে ৪১.৫% ভোট পেতে পারে। অন্যদিকে অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বে বিরোধী জোট ৩৩.৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে।
যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে এ সমীক্ষায়। সমীক্ষা বলছে বিজেপি ৪০৩ টি আসনের মধ্যে ২২৩ থেকে ২৩৫টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টি ১৪৫ থেকে ১৫৭টির মধ্যে আসন পেতে পারে। অন্যদিকে বহুজন সমাজ পার্টি ৮ থেকে ১৬ টি এবং কংগ্রেস ৩ থেকে ৭টির মধ্যে আসন পেতে পারে।
২০১৭ সালে বিজেপি ৪০৩টি আসনের মধ্যে ৩২৫টি, সমাজবাদী পার্টি ৪৮টি, বহুজন সমাজ পার্টি ১৯টি, কংগ্রেস ৭টি ও অন্যান্যরা চারটি আসন দখল করেছিল। প্রাথমিক সমীক্ষায় তাই দেখা যাচ্ছে- বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও তাদের আসন কমছে। অন্যদিকে তিনগুণ বাড়ছে সমাজবাদী পার্টির আসন সংখ্যা।
এদিকে আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে বিজেপি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার শুরু করবে। বিরাট বিরাট এলইডি সাঁজোয়া রথ, টেলিভিশন লাগানো গাড়িতে রাজ্যের পাঁচ বছরের যোগী সরকারের সাফল্য প্রচার করা হবে। যদিও আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রোড শো, মিছিল, সভা নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিজেপি তার আগেই রথ প্রচার শুরু করতে যাচ্ছে।
করোনা আবহে ভার্চুয়াল প্রচার সভায় জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক শক্তিশালী। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টিসহ বিরোধী দলগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
বিএসডি/এসএ