নিজস্ব প্রতিবেদক,
রংপুর বিভাগে গেল কয়েক দিনের তুলনায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমে এসেছে। বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ১৩৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে বিভাগের আট জেলায় শনাক্ত ৫২ হাজার ১১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গেল ২৪ দিনে বিভাগে করোনায় ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গড় হিসাবে প্রতিদিন বিভাগে প্রাণহানি হয়েছে ১০ জনেরও বেশি লোকের। এর আগে সোমবার (২৩ আগস্ট) বিভাগে করোনায় আটজনের মৃত্যু হয়। করোনা শনাক্ত হয় ২২৭ জনের।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নতুন মৃতদের মধ্যে নীলফামারীর তিনজনসহ পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও জেলার একজন করে রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় বিভাগজুড়ে ১ হাজার ২০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২৭ জনে শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫ জন, রংপুরের ২৪, দিনাজপুরের ২০, পঞ্চগড়ের ১৯, নীলফামারীর ১৭, কুড়িগ্রামের ১৫, গাইবান্ধার ১২ ও লালমনিরহাট জেলার সাতজন রয়েছেন। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সর্বশেষ ছয়জনসহ রংপুর বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১৬৫ জনে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে দিনাজপুর। এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩১৬ জন মারা গেছেন। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬০ জন মারা গেছেন লালমনিরহাটে। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ২৩২, নীলফামারীতে ৮৫, পঞ্চগড়ে ৭৪, কুড়িগ্রামে ৬৫ ও গাইবান্ধায় ৬১ জন মারা গেছেন।
গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ২ লাখ ৪৯ হাজার ৪১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ হাজার ১১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৪৫ হাজার ৩১৮ জন।
এদিকে যতই দিন যাচ্ছে শহরে-গ্রামে লঙ্ঘিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। সঙ্গে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি। হাটবাজার থেকে গণপরিবহন কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর চাপ কমেছে। তবে টিকা গ্রহণে সাধারণ মানুষের মধ্যে বেড়েছে সচেতনতা।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি বিভাগের মানুষের জন্য ভালো সংবাদ। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা মোকাবিলা করতে হবে।