নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনেই গতকাল রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট ছিল। কিছু এলাকায় গ্যাস থাকলেও স্বল্প চাপের কারণে বন্ধ ছিল রান্না। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গ্যাসের এই সংকট কাটতে ১০ তারিখ পর্যন্ত লেগে যাবে।
গতকাল গ্যাসের সংকট ছিল পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর ভাটারা থানার দক্ষিণ কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, রায়েরবাজার, ধানমণ্ডি, ওয়ারী, মগবাজার, বনশ্রী, গোপীবাগ, মিরপুর, মানিকদিসহ বেশ কিছু এলাকায়।
কোনো এলাকায় একদমই গ্যাস ছিল না। কোথাও নিভু নিভু করে জ্বলেছে চুলা। যে পরিমাণ গ্যাস চুলায় জ্বলছে, তা দিয়ে ইফতারি বা রান্না তৈরি করার মতো অবস্থা ছিল না। এ জন্য এসব এলাকার মানুষকে প্রথম ইফতার দোকান থেকে কিনে এনে খেতে হয়েছে। এতে করে ইফতারসামগ্রীর দোকানে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়।
দক্ষিণ কুড়িল এলাকার লিচুবাগানের বাসিন্দা বৃন্তা পাল অভিযোগ দিয়ে বলেন, ‘কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গ্যাস না থাকায় আমাদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। যদিও দুপুরের দিকে চুলায় নিভু নিভু ছিল, কিন্তু এই আগুনে কোনো কিছুই করা সম্ভব হয়নি। ’
পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোডের বাসিন্দা ফাতেমা আক্তার রওশন বলেন, ‘দুপুর পর্যন্ত কোনো রকমে চুলায় রান্না করা গেছে। কিন্তু বিকেলে আলুচপ, বেগুনি ভাজতে গিয়ে দেখি চুলা আর জ্বলছে না। পরে দোকান থেকে কিনে এনে ইফতার করতে হয়। এ নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। রোজার দিনে এমন কষ্ট মানা যায় না। ’
এদিকে গতকাল দুপুরে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের সৃষ্টি হতে পারে। প্রকৌশলীরা মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, ‘হঠাৎ বিবিয়ানায় দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। কিছুই করার ছিল না। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। বিকেল নাগাদ একটি কূপ মেরামতের কাজ শেষ হয়। আগামীকালের (আজ) মধ্যে আরো তিনটি কূপ উৎপাদনে আসবে বলে আশা করছি। এরপর আরো একটি কূপ চালুর কথা। তবে একটি কূপ মেরামত করতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে শেভরন।
বিএসডি/ এমআর