বিশেষ প্রতিনিধি
রাজধানীর যানজট কমাবে হাতিরঝিল-আমুলিয়া-ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ে। চার লেনের এ মহাসড়ককে এক্সপ্রেসওয়ে করতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। মহাসড়কটি চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে ঢাকায় প্রবেশের বিকল্প পথ হবে। পাশাপাশি এটি যানজট কমাতেও সহযোগিতা করবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) অধীনে। এ লক্ষ্যে রোববার (৯ জানুয়ারি) সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ) চীনা কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি সই করছে।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকার গ্র্যান্ড বলরুমে চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, হাতিরঝিল থেকে ডেমরা পর্যন্ত সড়ক ও মহাসড়ক ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর তা ১৩ কিলোমিটার হবে। ১ ঘণ্টার বদলে মহাসড়কে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলাচলে সময় লাগবে ১০ মিনিট। এটি ব্যবহারের জন্য টোল দিতে হবে। কাজ শুরুর পর এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে লাগবে প্রায় চার বছর। প্রকল্পে চায়না কমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড ও চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের কনসোর্টিয়াম ২ হাজার ৯৪ কোটি টাকা দেবে। বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ২০৯ কোটি টাকা দেবে।
চু্ক্তি স্বাক্ষরের পর চীনা কনসোর্টিয়াম মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করবে। ৯ মাসের মধ্যে প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে ভূমি হস্তান্তর ও কনসোর্টিয়ামকে তহবিল সংগ্রহ করতে হবে। ঢকার যানজট কমাতে ও শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি বিকল্প প্রবেশদ্বারের জন্য বিদ্যমান হাতিরঝিল-রামপুরা-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা সড়ককে এক্সপ্রেসওয়ে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। এক্সপ্রেসওয়ের নকশা চূড়ান্ত করা হচ্ছে বলে সওজ সূত্র জানা গেছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর বলেন, এ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা আজ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করছি।
বিএসডি/এসএ