আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অন্যদিকে অক্ষতার মা সুধা মূর্তি (৭১) পেশায় প্রকৌশলী। ভারতের খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান টাটা মোটরসের প্রথম নারী প্রকৌশলী ছিলেন তিনি। সুধা মূর্তি যখন টাটায় যুক্ত হন, তখন প্রতিষ্ঠানটিতে নারী প্রকৌশলী নিয়োগ না দেওয়ার নিয়ম ছিল। তিনি এ নিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে টাটার চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন।
ঋষি সুনাক ও অক্ষতা মূর্তির পরিচয় যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ পড়ার সময়। সেখানেই প্রণয়, এরপর ২০০৯ সালের আগস্টে ভারতে তাঁদের বিয়ে হয়। ওই বিয়ের আসরে রাজনীতিক, শিল্পপতি, তারকাসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
অক্ষতা মূর্তি পেশায় একজন স্বনামধন্য ফ্যাশন ডিজাইনার। ২০১০ সালে তিনি তাঁর নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ড অক্ষতা ডিজাইনস গড়ে তোলেন। এ ছাড়া বাবার কোম্পানি ইনফোসিসে ৪২ বছর বয়সী এ নারীর নামে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের শেয়ার রয়েছে। ২০১৩ সালে ঋষি সুনাকের সঙ্গে যৌথভাবে কাতামারান ভেঞ্চারস নামে একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন অক্ষতা মূর্তি। বর্তমানে তিনি এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।
ভারতে বেশকিছু স্বনামধন্য রেঁস্তোরা ও জিমে অক্ষতা মূর্তির বিনিয়োগ রয়েছে। এ ছাড়া ঋষি–অক্ষতা দম্পতির লন্ডনের কেনসিংটনে একটি পাঁচ বেডরুমের বাড়ি, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মোনিকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটসহ অন্তত চারটি বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে।
মূলত এসব সম্পদের কারণে অক্ষতা মূর্তির নাম সানডে টাইমসের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ওপরে রয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির হিসাবে, রানির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪৬ কোটি ডলার। আর অক্ষতা মূর্তির নামে শুধুমাত্র ইনফোসিসেই ১০০ কোটি ডলার মূল্যমানের শেয়ার রয়েছে।
গত সপ্তাহে অক্ষতা মূর্তি সংবাদমাধ্যমকে জানান, যুক্তরাজ্য সরকার তাঁর আবাসিক কর মওকুফ করেছে। এর ফলে ইনফোসিস থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের জন্য তাঁকে দেশটিতে কর দিতে হবে না। যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রীর স্ত্রী হলেও অক্ষতা মূর্তি ভারতের নাগরিক। এ কারণে আনুশকা ও কৃষ্ণা নামে দুই মেয়ের মা অক্ষতা মূর্তি যুক্তরাজ্যে পাকাপাকি বসবাস করার পরও দেশটিতে আবাসিক কর থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
এ নিয়ে তুমুল আলোচনা–সমালোচনার মুখে ঋষি সুনাক বলেছেন, আমার স্ত্রীকে তাঁর নিজ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন (নাগরিকত্ব ত্যাগ) করতে বলাটা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়।
বিএসডি/ এমআর