খেলাধূলা প্রতিনিধি:
কোয়ার্টার ফাইনালে নাদালের বিরুদ্ধে যে রণকৌশল নিয়েছিলেন আলকারাজ়, তারই পুনরাবৃত্তি দেখা যায় শনিবারের ম্যাচেও।
মাদ্রিদ ওপেনে চলছে স্পেনের ১৯ বছরের নতুন তারা কার্লোস আলকারাজ় গার্সিয়ার শাসন। মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বটেনিসের দুই মহাতারকাকে উড়িয়ে দিয়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন কার্লোস।
শনিবার সেমিফাইনালে তাঁর কাছে হার মানলেন বিশ্বের এক নম্বর তারকা নোভাক জোকোভিচ। তিনি সেটের লড়াইয়ে আলকারাজ় জিতলেন ৬-৭, ৭-৫, ৭-৬ ফলে।
তিন ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের দুর্দান্ত লড়াইয়ের পরে ফাইনালে পৌঁছে স্পেনের নতুন তারকা বলেছেন, “সে ভাবে দেখতে গেলে ম্যাচে প্রত্যেকটি পয়েন্টের জন্য দু’জনকেই খুব লড়াই করতে হয়েছে। নোভাক কিন্তু দ্বিতীয় সেটে আমার সার্ভিস ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি। সেটা বাদ দিলে ম্যাচে আর কোনও পার্থক্য চোখে পড়েনি।”
মায়ামিতে মাস্টার্স ১০০০ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে স্বপ্নের অভিযান শুরু হয়েছিল কার্লোসের। মাদ্রিদ ওপেনে ১৯ বছরের তারকা স্বমেজাজে আত্মপ্রকাশ ঘটালেন। শনিবারের ঐতিহাসিক জয় নিয়ে স্পেনীয় নায়ক বলেছেন, “ফাইনালের আগে নোভাককে হারানোটা আমার কাছে খুব বড় এক প্রাপ্তি বলেই মনে করি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য যে সাহস এবং আত্মবিস্বাসের প্রয়োজন ছিল, সেটা অর্জন করে নিলাম।” যোগ করেছেন, “২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নাদাল এবং জোকোভিচকে হারানোর পরে একটা বিষয় আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, বিশ্বের সেরা টেনিস তারকাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা এবং যোগ্যতা আমি অর্জন করতে পেরেছি। এর চেয়ে বড় তৃপ্তি আর কিছু হয় না।”
কোয়ার্টার ফাইনালে নাদালের বিরুদ্ধে যে রণকৌশল নিয়েছিলেন আলকারাজ়, তারই পুনরাবৃত্তি দেখা যায় শনিবারের ম্যাচেও। ক্লে কোর্টে বলের বাউন্সকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আলকারাজ় বেসলাইন থেকে পাল্টা আক্রমণে এবং র্যালিতে চাপে রাখার চেষ্টা করেন জোকোভিচকে। প্রথম সেট নোভাক জিতলেও পরের দুই সেটে তিনি আর ১৯ বছরের তারকার বিরুদ্ধে পাল্লা দিতে পারেননি।
বিএসডি/ এমআর