বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। বিভিন্ন বিভাগে ইতিমধ্যে নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি অনেক বিভাগে পরীক্ষা চলছে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলেও অনেকের মধ্যেই এখনো যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে অনীহা লক্ষণীয়। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় জুবেরী ভবনে সমিতির অফিসে একটি নির্বাহী পরিষদের জরুরি সভা আহ্বান করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ওই সভায় চারটি বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে সেসব বিষয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সব ক্লাস সশরীর গ্রহণের পরিবর্তে যত দ্রুত সম্ভব অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা করা; ক্যাম্পাসে অবস্থিত সব ধরনের দোকানপাটে করোনার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালনের উদ্যোগ নেওয়া; ক্যাম্পাসে বহিরাগত ব্যক্তিদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যাম্পাসের ভেতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ; বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে করোনার চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা, বিশেষত প্রয়োজনীয় সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া।
দাবিগুলো আজ সকালে লিখিত আকারে উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সংগঠনের গতকালের সভায় সমিতির পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কোভিড রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম প্রয়োজনে করোনায় আক্রান্ত শিক্ষক ও তাঁদের পরিবারের পাশে থাকবে। এ ছাড়া সমিতির সদস্যদের নিয়ে একটি উপকমিটিও গঠন করা হয়। এ কমিটি করোনা বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসে সবার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিএসডি/ এলএল