ক্রীড়া ডেস্ক,
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৩৮ রান করে বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারের সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অ্যাস্টন অ্যাগারের এলবিডাব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এবং জীবন পান। তখন ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব। পঞ্চম ওভারে মেহেদী হাসান দুইবার অল্পের জন্য ক্যাচ আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান, ওই ওভারও করেন অ্যাগার।
স্কোরঃ বাংলাদেশ ৬.১ ওভারে ৩৮/২; অস্ট্রেলিয়া ২০ ওভারে ১২১/৭
দুই ওপেনারের বিদায়
জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সেরা পারফর্মার সৌম্য সরকার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ। প্রথম ম্যাচে ২ রান করা এই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান ডাক মারলেন। বুধবার ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে ২ বল খেলেছেন এই ওপেনার। তৃতীয় ওভারে মিচেল স্টার্কের কাছে বোল্ড হন তিনি। পরের ওভারে নাঈম শেখ ৯ রান করে জশ হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড হন।
এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ১২২
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১২২ রানের টার্গেট দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আজ জিতলেই বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাবে।
শুরু থেকে আঁটসাঁট বোলিং করে অস্ট্রেলিয়াকে ১২১ রানের বেশি করতে দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান। দুর্দান্ত বোলিং করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। মাঝে প্রতিরোধ গড়েছিলেন মার্শ-হেনরিকস। তাদের ৫৭ রানের জুটি ভেঙে স্বস্তি এনে দেন সাকিব। মার্শ সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন, আর হেনরিকসের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ডট বল খেলেছে ৫০টি। মোস্তাফিজ ছাড়াও দারুণ বোলিং করেন শরিফুল। তিনি ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করে।
শরিফুলের আঘাত
মোস্তাফিজ জোড়া উইকেট নেওয়ার পরের ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল। তিনি ফেরান অ্যাস্টন টার্নারকে।
মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত
ম্যাথু ওয়েডের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিলেন মোস্তাফিজুর। পরের বলেই ফেরালেন অ্যাস্টন অ্যাগারকে। ১৮ ওভারের তৃতীয় বলে প্যাডল করতে চেয়েছিলেন ওয়েড। বল ব্যাট মিস করে উড়িয়ে দেয় স্ট্যাম্প। মাত্র ৪ রান করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। এরপরের বল অ্যাগার বুঝতেই পারেননি; স্কয়ারে কাট করতে চেয়েছেন কিন্তু বলে একটু বাউন্স থাকায় গ্লাভসে লেগে হাওয়ায় ভাসে। সোহান ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি। ০ রানের ফিরলেন অ্যাগার।
গলার কাঁটা মার্শকে ফেরালেন শরিফুল
প্রথম ম্যাচেও ইচেল মার্শ বাংলাদেশকে ভুগিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই পথে হাঁটছিলেন এই অজি ব্যাটসম্যান। তাকে ৪৫ রানের বেশি করতে দেননি শরিফুল ইসলাম। অফসাইডের লেন্থ বল চালিয়েছিলেন মার্শ কিন্তু বল ব্যাট ছুঁয়ে যায় উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে।
হ্যানরিকসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন সাকিব
মার্শ-হ্যানরিকস জুটি অস্বস্তিতে ফেলেছিল বাংলাদেশকে। ঠিক তখনই ত্রাতা হয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। ৩০ রান করা হ্যানরিকসকে বোল্ড করে ফেরালেন সাজঘরে। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লগ সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন হ্যানরিকস, বল ব্যাট মিস করে তার শরীর স্পর্শ করে ভেঙে দেয় স্ট্যাম্প। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে ২৫ বলে ৩০ রান করে হ্যানরিকস। এর মধ্যে দিয়ে ভেঙে যায় মার্শ-হ্যানরিকসের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি। ৫২ বলে তৃতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ৫৭ রান।
১০ ওভারে অর্ধেকই ডট খেলল অস্ট্রেলিয়া
প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৫৬টি ডট বল খেলেছিল। বাংলাদেশও কম পুঁজি নিয়ে জয় পায়। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে ৩০টিই ডট খেলল অজিরা। এ সময় ২ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান করে ম্যাথু ওয়েডের দল।
মোস্তাফিজের স্লোয়ারে বোল্ড ফিলিপে
মোস্তাফিজের স্লোয়ারে বোল্ড হয়ে ফিরলেন জস ফিলিপে। বুঝতেই পারেননি ফিলিপে। খেলতে চেয়েছিলেন লেগ সাইডে; কিন্তু ব্যাটে-বল এক করতে পারেননি। দ্য ফিজের স্লোয়ার ভেঙে দেয় ফিলিপের লেগ স্ট্যাম্প। ১৪ বলে ১০ রান করেন ফিলিপে।
রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে নাসুমের প্রথম বল পুল করতে চেয়েছিলেন ফিলিপে; কিন্তু ব্যাট মিস হয়ে পায়ে লাগে তার। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি অন-ফিল্ড আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল। বাংলাদেশ রিভিউ নিলেও কাজে আসেনি; রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাট স্পর্শ করে বল।
মেহেদীর বলে শুরুতেই ফিরলনে ক্যারি
মেহেদী প্রথম ম্যাচে প্রথম বলেই সাফল্য এনে দিয়েছিলেন অ্যালেক্স ক্যারিকে ফিরিয়ে। এবার তৃতীয় ওভারে এসে ক্যারিকে সাজঘরে পাঠালেন এই স্পিনার। ক্যারি এর আগের ওভারেই নাসুমকে দুটি রিভার্সসুপে চার মেরেছিলেন; পরের ওভারে মেহেদীর বলে আর পারেননি। আউটসাইড অফের বলে ক্যাচ তুলে দেন মিড অনে। তার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ১১ রান।
অপরিবর্তিত একাদশ, ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছে দুই দল। সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে বাংলাদেশ টস হেরে ফিল্ডিং করছে। বুধবার (৪ আগস্ট) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হচ্ছে সন্ধ্যা ৬টায়।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: অস্ট্রেলিয়াও একই একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে। তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে একাদশটি সাজানো। পেস আক্রমণে থাকছেন মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড ও অ্যান্ড্রু টাই। এ ছাড়া স্পিনে হাত ঘোরাবেন অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যাস্টন অ্যাগাররা।
অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ফিলিপে, মিচেল মার্শ, মোয়াসেস হেনরিকস, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন টার্নার, অ্যাস্টন অ্যাগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, জস হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।
বাংলাদেশ একাদশ: অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। একাদশ সাজানো হয়েছে দুই পেসার নিয়ে ও তিন স্পিনার নিয়ে। পেসে মোস্তাফিজুর রহমান-শরিফুল ইসলামের সঙ্গে স্পিনে আছেন নাসুম আহমেদ, শেখ মাহেদী ও সাকিব আল হাসান।
সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
মাটিতেই পা বাংলাদেশের
প্রথম ম্যাচের এই জয়ে পা মাটিতেই রাখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এবার পাখির চোখ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে। গতকাল ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, ‘আমরা এখনই সবকিছু শেষ করেছি এমন নয়, এটা মাত্র একটা ম্যাচ ছিল, আমরা জিতেছি আর এটা এখানেই শেষ। এবার দ্বিতীয় ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি।’
দ্বিতীয় ম্যাচেও একই কৌশল
ঘূর্ণি জাদুর সঙ্গে আঁটসাঁট ফিল্ডিংয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াবধ করেছে লাল সবুজের বাংলাদেশ। কম পুঁজি নিয়েও হার না মানা মানসিকতায় আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ বল পর্যন্ত পরিকল্পনামাফিক বোলিং-ফিল্ডিং করে টাইগাররা পেয়েছেন সাফল্য। একের পর এক ডট বল খেলতে বাধ্য করে ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে নেয় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই কৌশলে নামছে টিম বাংলাদেশ।
বিএসডি/আইপি