জিনেদিন জিদানের শূন্যস্থান পূরণ করে ফেলল রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ পরাশক্তিরা দলের কোচ হিসেবে ফিরিয়ে আনছে কার্লো আনচেলত্তিকে। ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী ক্লাবটি আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পুরোনো কোচ আনচেলত্তির হাতেই আবার দলের দায়িত্ব তুলে দিতে যাচ্ছে তারা ।
আনচেলত্তির সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করবে রিয়াল। আগামীকাল চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সাড়ার ঘোষণা দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় চুক্তি সাক্ষরের পর অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করবেন ইতালিয়ান আনচেলত্তি।
৬১ বছর বয়সী আনচেলত্তি এর আগে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কোচ ছিলেন রিয়ালের। ২০১৪ সালে আনচেলত্তির কোচিংয়েই মহা প্রতীক্ষিত ‘দেসিমা’ বা দশম চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল রিয়াল। তাঁর অধীনে রিয়াল একটি করে কোপা দেল রে, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ জিতলেও একবারও লা লিগা জিততে পারেনি।
আমার জন্য অপ্রত্যাশিতভাবে বড় একটি সুযোগ এসে গেছে। আমি বিশ্বাস করি আমার ও আমার পরিবারের জন্য ওই সুযোগ লুফে নেওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।
কার্লো আনচেলত্তি
লিগের ব্যর্থতাতেই রিয়াল মাদ্রিদের চাকরি হারানো আনচেলত্তি এরপর যোগ দেন জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখে। জার্মানিতে এক বছর কাটানোর পর সিরি ‘আ’ ক্লাব নাপোলিতেও এক বছর ছিলেন অভিজ্ঞ এই কোচ। পরে ২০১৯ সালে আনচেলত্তি যোগ দেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব এভারটনে।
আনচেলত্তি কাল এভারটনের ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়ে বিদায় জানিয়েছেন ক্লাবকে। লিভারপুলের ক্লাবটিতে ধন্যবাদ দিয়ে আনচেলত্তি বলেন রিয়াল কাজ করার প্রস্তাব ফেরাতে পারেননি তিনি, ‘আমি ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদ, খেলোয়াড় ও এভারটনের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই আমার পাশে থাকার জন্য। এভারটনের জীবনটা আমি উপভোগ করছিলাম। তবে আমার জন্য অপ্রত্যাশিতভাবে বড় একটি সুযোগ এসে গেছে। আমি বিশ্বাস করি আমার ও আমার পরিবারের জন্য ওই সুযোগ লুফে নেওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।’
আনচেলত্তিকে ধন্যবাদ জানিয়ে এভারটনও নতুন কোচ খোঁজার কাজ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রথমবার যখন রিয়াল গিয়েছিলেন আনচেলত্তি।
প্রথমবার যখন রিয়াল গিয়েছিলেন আনচেলত্তি।ফাইল ছবি
রিয়াল মাদ্রিদ গত মৌসুমে একটি ট্রফিও জিততে পারেনি। টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতা কোচ জিদান এরপর নিজে থেকেই ছেড়ে দেন রিয়ালের দায়িত্ব। পরে সমর্থকদের কাছে লেখা এক খোলা চিঠিতে জিদান লিখেছেন প্রিয় ক্লাবের কর্তাদের ওপর তাঁর অভিমানের কথা, ‘আমি কিন্তু কখনোই অনুশীলন করাতে হাঁপিয়ে উঠিনি। ২০১৮ সালের মে মাসে ক্লাব ছেড়েছিলাম। কারণ, তখন আমার মনে হয়েছিল, আড়াই বছরের সাফল্য এবং এতগুলো শিরোপার পর দলকে উদ্বুদ্ধ করতে নতুন কাউকে দরকার। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার আমি ক্লাব ছাড়ছি। কারণ, ক্লাব আমার ওপর সেভাবে আস্থা রাখতে পারছিল না।’
আনচেলত্তি কী পারবেন এবার মাথা উঁচু করে বিদায় নিতে?