এক যুগ আগে থেকেই বলা হচ্ছিল, বিরাট কোহলিই হতে যাচ্ছেন পরের শচীন টেন্ডুলকার। এই শচীনের পাশে দাঁড়িয়েই ২০১১ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তরুণ কোহলি। এরপর বেলায় বেলায় অনেক দিন পার হয়েছে। কোহলি নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য এক উচ্চতায়। আর আজ তো ইতিহাসেরই অংশ হতে পারতেন ভারতের এই ব্যাটার। তবে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে কোহলি ফিরলেন ৮৮ রান করে।
এক যুগ পর কোহলি আবার ফিরলেন মুম্বাইয়ে। যে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীনের সঙ্গে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। সেই ওয়াংখেড়েতেই নতুন ইতিহাস গড়লেন কোহলি। আর কী কাকতালীয় ব্যাপার। সেদিনের ফাইনালের মত আজকেও ভারতের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। বিরাটের উপর আজ চাপ ছিল। সেই চাপ সামাল দিয়ে খেলছিলেন দারুণ এক ইনিংস। সেঞ্চুরি পেলে ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি (৪৯) হতে পারতো তার।
কিন্তু দিলশান মাদুশাঙ্কার বলে কি থেকে যেন ভুল করে বসলেন বিরাট। স্ট্রেইট ড্রাইভ ঠিকঠাক হলো নয়া। বলটা চলে যায় পাথুম নিশাঙ্কার হাতে। শচীনের রেকর্ডে ভাগ বসানোর অপেক্ষাটা তাই দীর্ঘ হলো বিরাটের জন্য।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও এমন হতাশায় পুড়তে হয়েছিল কোহলিকে। দলের জয় পেতে দরকার ছিল ৫ রান। সেঞ্চুরির ম্যাজিক ফিগারে যেতে কোহলিরও দরকার আর ৫ রান। এমন সমীকরণে ক্রমাগত স্লোয়ার ছেড়েছেন কিউই বোলাররা। তাতে ধৈর্য্য হারিয়ে আকাশে বল তুলেছেন কোহলি। ৯৫ রানে আউট হয়ে ফিরেছেন রাজ্যের হতাশা নিয়ে।
ম্যাচ জিতেও তাই ধর্মশালায় ছিল রাজ্যের নীরবতা। বিরাটও পুড়েছেন আক্ষেপে। ঠিক একই দৃশ্যটা দেখা গেল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। ভারতের রান উৎসবের মাঝেও গ্যালারিতে হতাশা। সেটাও সেই বিরাটের কারণে। এদিন যন্ত্রণা অবশ্য দ্বিগুণ করেছেন শুভমান গিল। নড়বড়ে নব্বইয়ে সেই দিলশান মাদুশাঙ্কার বলেই আউট হয়েছেন নতুন দিনের এই তারকা ব্যাটার।
বিএসডি / এলএম