নিজস্ব প্রতিবেদক:
জলবায়ু পরিবর্তন নগর জীবনকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। তাই শহর ও শহরের মানুষকে বাঁচাতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমরা সবাই নিরাপদ হতে না পারছি, ততদিন পর্যন্ত আসলে কেউই নিরাপদ না। প্রত্যেকের মধ্যে আমি নয়, আমাদের এই ভাবনাটা ভাবতে হবে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকালে মিসরের শারম-আল-শেখে কপ-২৭ ব্লু জোন, চীন প্যাভিলিয়নে C-40 Cities এর (মেয়রদের নিয়ে গঠিত বৈশ্বিক প্লাটফর্ম) ভাইস চেয়ার হিসেবে চীনের শহরগুলো এবং সাউথ-সাউথ সিটিগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে জলবায়ু সহযোগিতা সম্পর্কিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব দাবি জানান।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, তীব্র দাবদাহ, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং লবণাক্ততার কারণে মানুষ নিজ এলাকা ছেড়ে প্রতিনিয়ত রাজধানীমুখী হচ্ছে। তারা ভাবছে অন্তত শহরে গেলে কিছু না কিছু আয়ের ব্যবস্থা হবে, খেয়ে-পরে বাঁচতে পারবে। ঢাকা শুধু ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশের কেন্দ্র নয়, এটি অর্থনৈতিক কেন্দ্রও বটে। আর এ জন্য ঢাকায় উদ্বাস্তুদের স্রোত বেড়েই চলেছে।
মেয়র আতিক বলেন, মেয়র হিসেবে শহর ও জনগণের প্রতি আমার দায়িত্ব রয়েছে। নগরবাসীর সুস্থতা, মর্যাদা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে আরও বেশি স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করতে হবে।
ন্যাচার বেইজড সলিউশনের গুরুত্ব তুলে ধরে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বেদখল খাল ও জলাশয় উদ্ধার করে সবুজায়ন, নতুন পার্ক, স্যানিটেশন পরিস্থিতির উন্নতি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতিসহ নিম্নআয়ের জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি করে সবাইকে সাথে নিয়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো এবং পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বমূলক জোরালো ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ্য করে চীনের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি সময় এসেছে এই অংশীদারিত্বকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সম্প্রসারিত করা। সেক্ষেত্রে চীন হতে পারে আমাদের রোল মডেল।
বিএসডি/এফএ