আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্রের পাশে দাঁড়িয়ে দেশটির নেতা কিম জং উন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী নীতি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক শক্তি বৃদ্ধির মুখে তার দেশের অস্ত্র তৈরি করা দরকার। মঙ্গলবার দেশটির সরকারি গণমাধ্যমের খবরে কিম এই মন্তব্য করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার সামরিক বাহিনীর অস্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কিম জং উন বলেন, পিয়ংইয়ং কেবল আত্মরক্ষার জন্যই সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে এবং যুদ্ধ শুরুর জন্য নয়।
আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র-সহ (আইসিবিএম) বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের পাশে দাঁড়িয়ে এসব মন্তব্য করেছেন কিম জং উন। দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সংবাদপত্র রোডং সিনমুনে প্রকাশিত ছবিতে আইসিবিএমের পাশে তাকে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়।
পিয়ংইয়ংয়ের সবচেয়ে বড় আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং-১৬; যা গত বছরের অক্টোবরে উন্মোচন করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়নি দেশটি।
‘যুদ্ধই’ উত্তর কোরিয়ার প্রধান শত্রু উল্লেখ করে কিম বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করছি না, বরং যুদ্ধ ঠেকানো এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যুদ্ধ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলছি।’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রদর্শনীতি যেসব অস্ত্র দেখানো হয়েছে, সেসব নিয়ে মার্কিন এবং সিউলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে বিশ্লেষণের কাজ শুরু করেছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
কোরীয় দ্বীপের এ দুই দেশ অস্ত্র প্রতিযোগিতার গতি ত্বরান্বিত করছে। ক্রমবর্ধমানভাবে উভয় দেশই স্বল্প-মাত্রার উন্নত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে।
দক্ষিণ কোরিয়া সম্প্রতি প্রথমবারের মতো সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এছাড়া বিমানবাহী রণতরী এবং মার্কিন এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমানসহ নতুন নতুন অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করছে দেশটি।
উত্তর কোরিয়াও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছে এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটি তাদের প্রধান পারমাণবিক চুল্লির বড় ধরনের সম্প্রসারণ শুরু করেছে; যা পারমাণবিক বোমার জ্বালানি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
সূত্র: রয়টার্স।