বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোরের শার্শায় সাংবাদিক পরিচয় দানকারি কথিত চাঁদাবাজ সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে তিন ভুক্তভোগী।সোমবার (৮ আগস্ট) বিকালে বাগআঁচড়া প্রেসক্লাবের অস্হায়ী কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন আবু সাঈদ ও মনিরুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, কথিত সোহাগ হোসেন একজন চাঁদাবাজ ও পরঅর্থ আত্বসাৎকারী প্রতারক। সে সাধারন মানুষের নিকট থেকে অবৈধ ভাবে ভীতি প্রদর্শনসহ ফেইসবুক মিথ্যা তথ্য প্রদর্শন করবে বলে চাঁদা আদায় করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ।
সম্প্রতি কলারোয়া থানার কিসমত ইলিশপুর গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে আবু সাঈদের বাগআঁচড়া বাগুড়ী বাজারস্হ মিলন মেডিকেলে অবৈধ ভাবে মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের হুমকি ধামকি দিয়ে সোহাগ হোসেন গত ৫ই জুন বিকালে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় হুমকি ধামকি দিয়া ফেইস বুকের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিবে বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং ৭ ই জুন তার ফেইসবুক আইডির মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও ভিডিও প্রকাশ করে। যাতে মিলনের ব্যবসাসহ সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্য হয়েছে।
এদিকে কলারোয়া থানার কিসমত ইলিশপুর গ্রামের আজিবার মোড়লের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৬) এর আমের আড়তে গিয়ে গত ৮ ই ফেব্রুয়ারী ১৫ হাজার টাকা ও একই গ্রামের তালেব মোড়লের ছেলে রবিউল হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে ২৫ শ টাকা চাঁদা দাবী করে নিয়ে আসে।
এছাড়াও একই থানার কিসমত ইলিশপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে আব্দুল আলিমের ইলিশপুর গ্রমস্হ মিস্ত্রি মোড়ে অবস্থিত সুপার রুচিরা বেকারীতে গিয়ে এলাকায় ব্যাবসা করিতে গেলে নিয়মিত টাকা দিতে হবে বলে চাঁদা দাবি সহ অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ব্যাবসায়ীক ক্ষতি করবে বলে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে চলে আসে।
সেই সময় উক্ত সোহাগের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় স্ব শরীরে হাজির হয়ে পৃথক তিনটি অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগিরা। পরিবর্তিতে চাঁদাবাজ সোহাগের হাত থেকে পরিত্রান পেতে বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল খুলনা ও বিজ্ঞ আমলী এক আদালত সাতক্ষীরায় সোহাগকে অভিযুক্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৯/২৫/(২) বাদির নালিশির বিবরনিতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। যা চলমান।
অনুরুপ ভাবে মনিরুল ইসলামও সোহাগকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আমলী ৪ নং আদালত সাতক্ষীরায় ৩৮৫/৫০৬/(২য় অনু)দন্ডবিধিতে আরো একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যার নং সিআর – ৩০৩/২২। যা চলমান।
উল্লেখিত অভিযোগ ও মামলার যথেষ্ঠ সাক্ষ্য প্রমান আছে। পরিশেষে ভুক্তভোগিরা সাংবাদিক সমাজের নিকট সঠিক তথ্য উপস্হাপনের মাধ্যমে উক্ত চাঁদাবাজ পরঅর্থ আত্বসাতকারী, প্রতারক ও আইন অমান্যকারী সোহাগের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি পরিত্রান পাওয়ার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এ ধরনের চাঁদাবাজি সহ নানা অবৈধ কর্মকান্ডের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
বিএসডি/ এমআর