ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পদ্মা নদী উত্তাল থাকায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে গতকাল বুধবার সকাল থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ফেরি বন্ধ থাকায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে সাড়ে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। ফলে ঘাটে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকেরা।
ঘাট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় লোকজন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবারও পদ্মা নদীতে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। নদীতে প্রবল বাতাসের কারণে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া তীব্র স্রোতও বয়ে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে একটি রো রো ফেরি ছাড়া হলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাট থেকে আর কোনো ফেরি ছাড়া হয়নি।এখনো বাতাসের কারণে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে শিমুলিয়া ঘাটের পন্টুনগুলোতে। বুধবার ঢেউয়ের কারণে সকাল আটটার দিকে ২ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনটি বিচ্ছিন্ন হয়ে দুই ভাগ হয়ে যায়। ভেঙে যাওয়া পন্টুনটি বেঁধে রাখা হয়েছে। সেদিন সকাল থেকে পদ্মায় ঢেউয়ের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. জাকির হোসেন সকাল পৌনে ১০টার দিকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ছয়টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ঘাটে এসে অসংখ্য ছোট-বড় যানবাহন জড়ো হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৫৪০টি যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। এসব যানবাহনের মধ্যে মালবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সংখ্যাই বেশি। এ ছাড়া ছোট গাড়ি ও বাস রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ২ নম্বর ঘাটের পন্টুন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় এই নৌপথ ব্যবহারকারীদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের বিকল্প পথ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নদীতে প্রচণ্ড বাতাস, ঢেউ ও স্রোত রয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।