প্রযুক্তি ডেস্ক,
প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে নিত্যদিন নতুন নতুন অ্যাপ আত্মপ্রকাশ করছে। জীবনযাপনকে আরও সহজ করতে এই উদ্ভাবন প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে শেয়ারিং সাইট ‘বেবিটিউব’। যেখানে ভিডিয়ো আপলোড করে আয়ের সুযোগও রয়েছে।
ওয়েবসাইট ও অ্যানড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে বেবিটিউবের ভিডিয়ো দেখা যাবে। এখানে অ্যাকাউন্ট খুলে খেলাধুলা, কার্টুন, পড়াশোনা, মুভি, নাটক, গেম, গান, গজল, ট্রাভেল, ব্লগ, টেকনোলজিসহ শিশু-কিশোর নির্ভর সব ধরনের ক্যাটাগরিতে ভিডিয়ো আপ করা যাবে।
এ ব্যাপারে বেবিটিউবের চেয়ারম্যান সাইদুল করিম মিন্টু গণমাধ্যমকে বলেন, দিন দিন বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। প্রায় প্রতিটি পরিবারে বেড়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার। সে কারণেই শিশু-কিশোরদের নিরাপদ ইন্টারনেট প্লাটফর্ম ভিডিয়ো শেয়ারিং সাইট বেবিটিউব।
বেবিটিউবের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবরার আহমেদ চৌধুরী (শাকিল) জানান, অভিভাবকরা জেনে-না জেনে সন্তানদের হাতে মোবাইল দিচ্ছে বা ডিজিটাল ডিভাইসগুলো দিচ্ছে। এটা খুবই ক্ষতিকর। অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে ইন্টারনেট ব্যবহারে। তাই আমার বিশ্বাস বেবিটিউব। আপনিও আপনার সন্তানের জন্য বেবিটিউব ব্যবহার করুন নিশ্চিন্তে।
বেবিটিউবের প্রতিষ্ঠাতা শামীম আশরাফ বলেন, প্রযুক্তির দুনিয়ায় বেবিটিউব হবে শিশু-কিশোরদের জন্য শিক্ষণীয় ও নিরাপদ ইন্টারনেট প্লাটফর্ম। প্রতিটি শিশু-কিশোর যেন থাকে নিরাপদ ইন্টারনেটের আওতায়। প্লে স্টোর থেকে BabyTube লিখে সার্চ দিয়ে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে অ্যাপটি। এছাড়া সরাসরি baby-tube.com ওয়েবসাইট থেকেও ব্যবহার করতে পারবে।
বেবিটিউবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, বেবিটিউবের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে সুস্থ ও সুন্দর জীবন। শিশু-কিশোরবান্ধব সুন্দর পৃথিবী গড়তে চায় বেবিটিউব।
এ দিকে, বেবিটিউবের হেড অব হিউম্যান রিসোর্স আবির আহমেদ বলেন, বেবিটিউব বর্তমান সময় থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সকল শিশু-কিশোরদের নিরাপদ ইন্টারনেটের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থ নিরাপদ ইন্টারনেট জগৎ নিশ্চিত করতে শিশু-কিশোরদের বেবিটিউবের উপর আস্থা রাখা প্রয়োজন।
অন্যদিকে, বেবিটিউবের হেড অব প্রজেক্ট ওয়াশিমুল রাফিন বলেন, অভিভাবকরা এই সময়ে তাদের সন্তানের হাতে মোবাইল বা ইন্টারনেট ডিভাইস তুলে দিচ্ছে। যেটি অনেক সময় বাচ্চাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়। তাই ইন্টারনেটে সেই ক্ষতিকর দিকটি থেকে সচেতন রাখতেই বেবিটিউব কাজ করছে।
বিএসডি/আইপি