নিজস্ব প্রতিবেদক,
পিরোজপুরে ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মেহেদি হাসান স্বপন ও সুমন জোমাদ্দার। আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির পর আজ বুধবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। পরে শিশির মনির জানান, সুমন জমাদ্দার ঘটনার সময় শিশু ছিলেন। কিন্তু নিম্ন আদালত সেটি বিবেচনায় না নিয়েই তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন এবং তার স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করেই আরেকজকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমি বলেছি যে, শিশুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সাক্ষ্যগত কোনো মূল্য নেই। হাই কোর্ট আমাদের এসব যুক্তি শুনে সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে দুজনকে খালাসের রায় দিয়েছেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সকালে ৩য় শ্রেণির ওই ছাত্রী তার নানার একটি গরু নিয়ে স্কুল মাঠে ঘাস খাওয়াতে যায়। পরে সে ঘরে ফিরে না আসায় নানা বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করে। পরদিন দুপুরে প্রতিবেশি শাহজাহান জমাদ্দারের বাগানে বিবস্ত্র অবস্থায় ওড়না পেঁচানো শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার ননী গোপাল রায় তার রিপোর্টে উল্লেখ করেন যে, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে ওই ঘটনায় নিহতের পিতার করা মামলায় ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম কিবরিয়া দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
এসআইএস/এমএম