নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আটক ১৪ জনের মধ্যে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক (নৌ নিট্রা) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলাটি করেন। এ ছাড়াও নৌযান পরিচালনায় দায়িত্বে অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের নৌ আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দ্বীপক কুমার সাহা বলেন, বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ৮ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামি ৮ জন গ্রেপ্তার আছে। তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এমভি রূপসী-৯ নামের বেপরোয়া কার্গো জাহাজটি মানুষ হত্যা, গুরুতর জখমসহ ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে।
আসামিরা হলেন, এমভি রূপসী-৯ নামের কার্গো জাহাজের প্রথম শ্রেণির মাস্টার রমজান আলী, ২য় শ্রেণির মাস্টার নুরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম ও মো. নাদিম হোসেন, লস্কর সুমন হোসেন ও ইয়াছিন মিয়া, গ্রীজার রিয়াদ হোসেন ও সুকানী জাহিদুল ইসলাম।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মিনা মাহমুদা বলেন, ‘কার্গো জাহাজ থেকে ১৪ জনকে আটক করা হয়। তবে এর মধ্যে ৬ জন এর সঙ্গে জড়িত না। কারণ তারা রান্না ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক (নৌ নিট্রা) বাবু লাল বৈদ্য বলেন, ‘নৌ পরিবহন অধিদপ্তর নৌ আদালতের মামলা দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দায়ের করা হয়নি। এর জন্য সময় লাগবে। তবে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার দুপুর সোয়া ২টায় সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় এমভি রূপসী-৯ কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী এমএল আফসার উদ্দিন লঞ্চ ডুবে যায়। এতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন বলে জানান সাঁতরে তীরে উঠা যাত্রীরা।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, ২০ থেকে ২৫ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ শিশু, ৪ নারী ও ২ পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার কাজ চলমান আছে। লঞ্চটিডুবির দেওয়ার ঘটনায় ঘাতক কার্গো জাহাজটি রোববার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের হোসেন দি ডকইয়ার্ড থেকে আটক করা হয়। এসময় এর মাস্টার, ড্রাইভার সহ ১৪ জনকে আটক করে নৌ পুলিশ।
বিএসডি/ এলএল