আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা দেশ ছাড়িয়ে ভারতের মাটিতেও শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে আসামের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপের কারণেই আসাম ভারতের মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে। আলফা (আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন) নেতাদের বিরুদ্ধে তার অ্যাকশন আসামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনস্বীকার্য ভূমিকা রেখেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গৌহাটিতে রাজ্যের অতিথি ভবন ‘কইনাধারা’য় সফররত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিনিধিদলে ১৫ বীর মুক্তিযোদ্ধার পাশাপাশি আছেন ছয়জন সাংবাদিক ও চারজন যুব প্রতিনিধিও।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহায়তায় আসামের মানুষের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, আসাম ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক রক্তের। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই সম্পর্ক আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিদলকে অনুরোধ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপের কারণেই আসাম ভারতের মধ্যে এখন সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার দৃঢ়চেতা অবস্থান আসামকে এক্ষেত্রে অনেক বড় সহায়তা করেছে। আলফা লিডারদের বিরুদ্ধে তার অ্যাকশন ভীষণভাবে সহায়তা করেছে আমাদের। এজন্য তার প্রতি আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের আসাম সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার মাধ্যমে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি। শেখ হাসিনা যদি ওই সময় (অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টাকালে) আলফার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিতেন আজ আমরা এভাবে এই শান্তিপূর্ণ রাজ্যে আপনাদের আমন্ত্রণ জানাতে পারতাম না। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণের যেই সফর আয়োজন হয়েছে, এই গর্বের মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারতাম না।
তার বক্তব্যের আগে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবীন চৌধুরী (বীর বিক্রম) বক্তব্য রাখেন। তিনি এসময় সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। এ সময় তার হাতে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রও তুলে দেন শমসের মবীন চৌধুরী।