আজ সোমবার ভোরে রাজধানীতে শীতের অনুভূতি হঠাৎ বেড়ে যায়। তবে বেলা গড়াতে রোদ বেড়ে শীতের অনুভূতি কমে আসে। সন্ধ্যা থেকে আবারও হিম হিম শীতের বাতাস বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা আবারও কমে আসে। আজকে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামেনি। কিন্তু ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা, অর্থাৎ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে চলে আসে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চল হয়ে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত শীতের অনুভূতি বেড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, অনুকূল পরিস্থিতির কারণে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসা শীতল বাতাসের প্রবাহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। যে কারণে উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা একই রকমের থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আজ থেকে গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নঁওগা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও যশোরে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে তাপমাত্রার পারদ সবচেয়ে বেশি নেমেছে চুয়াডাঙ্গায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ ছাড়া যশোরের তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমেছিল। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ ও এর কাছাকাছি তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, আগামীকাল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
বিএসডি/ এলএল