আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার এক লাখ ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই কূটনৈতিক সমাধানের জন্য ইউক্রেনে পৌঁছেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন হলে গ্যাসের লাইন বন্ধসহ তেলের দাম বৃদ্ধি ও শেয়ারবাজারে পতনের শঙ্কার মধ্যে আজ সোমবার কিয়েভে পৌঁছেছেন তিনি।
ইউক্রেনে যাওয়ার আগে জার্মানির এই চ্যান্সেলর বলেছেন, ‘রাশিয়ার যেকোনো আগ্রাসন কঠোর নিষেধাজ্ঞার দিকে ধাবিত হবে।
আমরা প্রস্তুত রয়েছি। অবিলম্বে আমরা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে পারি। তবে ইউরোপ যেকোনোভাবে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘
জার্মানির চ্যান্সেলরের কিয়েভ সফরের দিকে তাকিয়ে আছে অনেকেই। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁঁর।
রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায়, সে ক্ষেত্রে কিয়েভের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে কিভাবে সহায়তা করা হবে, সে ব্যাপারে দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর।
এদিকে ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র রাশিয়ার বার্তা সংস্থা রিয়াকে বলেছেন, কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সাম্প্রতিক উন্নতি সত্ত্বেও মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক ‘তলানিতে পড়ে আছে’।
দিমিত্রি পেসকভ ইঙ্গিত দিয়েছেন, ’দুই দেশের মধ্যে চ্যানেলগুলো খোলা থাকলেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে, কোনো পক্ষ কেবল নেতিবাচক বিষয়ে কথা বলতে পারে। আমরা খুব, খুবই তলানিতে পড়ে আছি। ‘
পেসকভ স্বীকার করেছেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধানরা আলাপ করছেন, অন্যভাবেও আলাপ হচ্ছে। এটি ইতিবাচক; কারণ আপনারা জানেন- মাত্র কয়েক বছর আগেও কোনো সংলাপ ছিল না, এ ধরনের কোনো যোগাযোগও ছিল না। ‘
রাশিয়া এটা নিশ্চিত করতে চায় যে, ইউক্রেন ন্যাটো সামরিক জোটে অংশ নিতে পারবে না। এমনকি ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনার কথাও বারবার নাকচ করে আসছে মস্কো। তবে পশ্চিমা দেশগুলো রুশ হামলার শঙ্কায় নিজেদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করতে বলেছে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।