নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীপাবলী-আলোর উৎসব। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক শুভ দেওয়ালি বা দীপাবলী। অন্ধকারকে দূর করে শুভ ও কল্যাণের প্রতিষ্ঠায় এ উৎসব উদযাপন করা হয়। সনাতন হিন্দু মতে দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব।
আজ শ্যামাপূজা। মঙ্গলময়ী, শক্তিরূপিণী শ্যামা মায়ের পূজার্চনার দিন। একই সঙ্গে ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বেলে আয়োজন করা হবে দীপাবলি উৎসবের।
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হিন্দু পুরাণ মতে কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা।
করোনার কারণে এবারও সীমিত পরিসরে উদযাপিত হবে শ্যামাপূজা ও দীপাবলি। সন্ধ্যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি ঘরে, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে জ্বালানো হবে মঙ্গল প্রদীপ।
পোস্তগোলা জাতীয় মহাশ্মশানে ২০টির মতো কালীপূজা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালীমন্দির, তাঁতীবাজার, শাঁখারিবাজার, লক্ষ্মীবাজার, পাঁচশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী বনগ্রাম রাধা গোবিন্দ জিও মন্দির, জয়কালী মন্দির, রামসীতা মন্দির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, রাজারবাগের বরদেশ্বরী কালীমন্দিরসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের প্রতিটি মণ্ডপের সামনে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ শীর্ষক প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।
বিএসডি /আইপি