নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে কমপক্ষে সাতটি চক্রের সম্মিলিত ও সুদীর্ঘ ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যথাসময়ে সেগুলো প্রকাশ করা হবে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এক স্মারক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গওহর রিজভী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের আমরা চিনি। তারা ছিল নিতান্ত সাধারণ সৈনিক। এদের পেছনে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্রে কমপক্ষে সাতটি চক্র সক্রিয় ছিল। কোনো কোনোটি ছিল ব্যক্তি বিশেষের ষড়যন্ত্র, কোনোটির পেছনে ছিল সম্মিলিত পরিকল্পনা ও উদ্যোগ। সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হচ্ছে জাতির পিতাকে হত্যার এ ষড়যন্ত্র বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু হয়েছিল। যাতে করে বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি জীবিত অবস্থায় আর বাংলাদেশে ফিরে আসতে না পারেন।
আন্তজার্তিক খ্যাতি সম্পন্ন ঐতিহাসিক ও গবেষক ড. রিজভী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, ধর্ম-নিরপেক্ষতা, সামাজিক ন্যায় বিচার এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের গোড়াপত্তন করেছিলেন। তাকে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেয়াই ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের লক্ষ্য। এসবের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। যথাযথ সময়ে সেগুলো প্রকাশ করা হবে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের সভাপতিত্বে স্মারক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার আহবাব আহমেদ, নির্বাহী মেয়র জন বিগস, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গাউস সুলতান, ক্রয়ডন কাউন্সিলের মেয়র শেরওয়ান চৌধুরী, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির সিনিয়র ব্যক্তিত্ব জালাল উদ্দিন ও বিশিষ্ট কমিউনিটি সংগঠক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।
অনুষ্ঠানে অতিথি ও মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে শোক দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত একটি স্মারক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন হাইকমিশনার।
বিএসডি/এমএম