নিজস্ব প্রতিবেদক
যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএম এমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। এর আগে কয়েকমাস ধরেই সম্রাট বিএসএমএমইউ এর প্রিজন সেলে পর্যবেক্ষনে ছিলেন।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) মধ্যরাতে বুকের ব্যথা বেড়ে গেলে তাকে সিসিইউতে স্থানন্তর করা হয়। কারা অধিদপ্তরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, হাসপাতালে সম্রাটের নিরাপত্তায় কারারক্ষী ও শাহাবাগ থানার পুলিশ রয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের তত্বাবধানে রয়েছেন। তারা সম্রাটকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন। গত শুক্রবার তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়তে- বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতায় সবচেয়ে এগিয়ে খালেদা জিয়া
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় সম্রাটের বুকের বা পার্শে ব্যথা শুরু হয়। তার হার্টবিট দ্রুত চলছিল, আবার কখনো থেমে যাচ্ছিল। চিকিৎসকদের নির্দেশনায় তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
কারা সূত্র জানায়, কারাগারে আসার পর থেকে সম্রাটের হার্টে সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমবার তাকে জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশনে নেওয়া হয়। পরবর্তিতে তাকে বিএসএমএমইউতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালতের ব্যাবস্থাপত্র অনুযায়ী সাবেক এই যুবলীগ নেতা ২৩ বছর আগে তার ওপেন হার্ট সার্জারি ও ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। তিনি প্রায় ২২ মাস যাবত কারাগারে রয়েছেন। যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএম এমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। এর আগে কয়েকমাস ধরেই সম্রাট বিএসএমএমইউ এর প্রিজন সেলে পর্যবেক্ষনে ছিলেন।
এর আগে ১০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার বিষয়ে নাম আসে সম্রাটের। এরপর ৭ অক্টোবর কিমিল্লার চৈদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওইদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া কমপ্লেক্সে অভিযান চালানো হয়। প্রায় ৫ ঘন্টা অভিযান শেষে ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ায় তাৎক্ষনিক সম্রাটকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষন আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর ঢাকার রমনা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির বিষয়ে আরও দুটি মামলা করা হয়।
বিএসডি/এমএম