নিজস্ব প্রতিবেদক,
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার চরম দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।
এই করোনাভাইরাসে যখন মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে, তখন স্বাস্থ্য খাতে কীরূপ দুর্নীতি চলছে। শতকরা ৫২টি হাসপাতালে কোনো আইসিইউ বেড নেই। একটা জেলা হাসপাতালে পর্যন্ত কোনো অক্সিজেন সরবারহের ব্যবস্থা নেই। আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম জেলার হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান আইসিইউ বেড, অক্সিজেন সরবারহ এবং ঔষধের ব্যবস্থা করা হোক।
আজ রবিবার জাতীয়তাবাদী দল সমর্থিত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ‘মহান স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী : গণমাধ্যমের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আবদুল হাই শিকদার, বাকের হোসাইন, বাছির জামাল, রাশেদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মোরসালিন নোমানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা গতকাল জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি নির্লজ্জ! জাতীয় সংসদে এই একজন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে তার দলের লোকেরা কথা বলছেন, বিরোধী দলের কয়েকজন কথা বলেছেন, সারাদেশের মানুষ কথা বলছেন। তার মন্ত্রণালয়ের দুর্ণীতি যখন প্রমানিত হয়েছে, দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত ব্যাক্তির সঙ্গে যখন তিনি চিত্রিত হয়েছেন, ছবি তোলা হয়েছে এগ্রিমেন্ট সই করার সময়ে। তারপরেও তিনি (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) পদত্যাগ করছেন না এবং লজ্জা-শরম কোনো জিনিস আছে বলে মনে হয় না। দুর্ভাগ্য আমাদের যে এরকম একটা ভয়ংকর গণবিরোধী সরকার যারা আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধবংস করে দিচ্ছে। তারা এখনো সরকারে আছেন এবং বহাল তবিয়তে আছে।
গণমাধ্যমের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে এতোটুকু সরকারের সমালোচনা করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের মাধ্যমে চরম নির্যাতন করা হচ্ছে। গত ৬ মাসে ১৫০ জনের মতো সাংবাদিক শুধুমাত্র সত্য কথা লেখার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজকে এই জাতিকে বাঁচানোর জন্য, তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কখনোই কোনো আন্দোলন সফল হয় না যদি আমরা ত্যাগ শিকার না করতে পারি। আমি অনুরোধ জানাব, তরুনদের এখনই জেগে উঠতে হবে, এই ঘোরতর অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে। বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, একসময়ের নাম করা সাংবাদিকরা এখন উচ্ছিষ্টভোগী হয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন সম্পর্কে নানারকম অপপ্রচার করে কলাম লিখছেন যা সত্য নয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, লেখা গুলোর বিরুদ্ধে আপনাদের জবাব দিতে হবে, সেগুলোর বিরুদ্ধে পত্রিকায় আপনাদের লেখা দিতে হবে। কিছুদিন আগে আবদুল গাফফার চৌধুরী সাহেব যে সমস্ত লেখা লিখছেন আপনারা আমাদের মতাদর্শের যারা একজনও কিন্তু প্রতিবাদ করে কলাম লিখছেন না। অন্তুত যে কথাগুলো তার সত্য নয়, সেগুলো তো আপনাদের বলতে হবে, লিখতে হবে, জনগনকে জানাতে হবে সত্যটা।
বিএসডি/এসআই/এমএম