লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক:
কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সারে ভূর্তুকি দিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার জুটলোনা লক্ষ্মীপুরের কৃষকদের ভাগ্যে । বাড়তি দামেই কিনতে হয় কৃষির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এই সার। ফলে কৃষকদের নয়, ভাগ্য বদল হয় সার ডিলারদের।
ভুর্তুকির টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠছে সার ব্যবসায়ীরা। লক্ষ্মীপুরের কয়েকটি উপজেলার বড় বাজার গুলো ঘুরে দেখা যায় সরকার নির্ধারিত মূল্য তালিকা জনসম্মুখে টানানোর কথা থাকলেও তা পাওয়া যায় না কোন দোকানে। নিজেদের ইচ্ছেমত চওড়া দামেই বিক্রি করে যাচ্ছে সব ধরনের সার।
সরকার নির্ধারিত কৃষক পর্যায়ে প্রতিকেজি ইউরিয়া ১৬ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, এমওপি ১৫ টাকা ডিএপি ১৬ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু কৃষি অধিদপ্তরের উদাসীনতা ও তদারকির অভাবে কোথাও প্রতিকেজি সার ৮-১০ টাকা বেশি মূল্য কিনতে হয়।
এ বিষয়ে জানতে লক্ষ্মীপুর কৃষি অধিদপ্তরের ডিডি ড. জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সার ডিলারদের কাছে সবাই জিম্মি। কৃষকদের ক্যাশ মেমোসহ সার বিক্রি করার কথা। কিন্তু তারা তা মানছে না। আমাদের অভিযানে কিছু সময় সরকার নির্ধারিত মূল্য সার বিক্রি করলেও আমরা চলে আসলে আবারো বেশি দামে বিক্রি করে।
এই ব্যাপারে জানতে লক্ষ্মীপুর জেলা সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকিতে সরকার নির্ধারিত মূল্য সার বিক্রি হয়। সারের কোন সংকট নাই। কেউ বেশি দামে বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।
বিএসডি/ এলএল