নিজস্ব প্রতিবেদক:
সড়কের নিচে একটা নালা, প্রায় ১০ ফুট প্রশস্ত। গভীরতা ৭০ ফুট।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় বাসায় ফেরার পথে সড়কের পাশের অরক্ষিত খােলা ড্রেনে পা পিছলে পড়ে করুণ মৃত্যুর শিকার হয়েছেন আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সেহেরিন মাহমুদ সাদিয়া। এমন হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় আমরা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ পরিবার শােক প্রকাশ করছি। মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং এই অপূরণীয় ক্ষতিতে শােকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে এমন ঘটনার পেছনে কারাে দায়িত্বহীনতা থেকে থাকলে সেটা দ্রুত তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। নগরের সব সড়কে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থীদের চলাচলে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও মরণফাঁদখ্যাত নগরের নালাসমূহ মেরামত করা না হলে, কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ নগর গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর।
সেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া নগরের হালিশহর বড়পুল এলাকার মইন্যা পাড়ার বাসিন্দা। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার বড় সাদিয়া চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সাদিয়ার জেঠা আবু তাহের বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
বিএসডি/আইপি