নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেছেন, রাজধানীর বনানীতে সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা গাড়িচাপায় পা হারানোর ঘটনায় কার দোষ তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া আমাদেরই একজন সদস্য। তবে যেহেতু মামলা হয়েছে তাই সাধারণ মানুষ যেভাবে বিচার পান তাঁর বিষয়টি সেভাবে দেখা হবে। তাঁর মামলার বিষয়ে গুলশান বিভাগ কাজ করেছে।
হাফিজ আক্তার বলেন, পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বিষয়টি আমিও জানি। এই ঘটনায় আমাদের গুলশান বিভাগের বনানী থানায় একটি মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে।
সার্জেন্ট মহুয়ার করা মামলায় আসামির নাম না দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, নাম না দেওয়ার কারণ, ঘটনা কী ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কার দোষ সেটি খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে মহুয়ার পাশে থাকবেন কি না জানতে চাইলে ডিবির প্রধান বলেন, ‘আমরা তাঁর পাশে অবশ্যই আছি। সে তো আমাদেরই লোক। তবে আইনে যা হয়, সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনের চোখে যেটা হওয়ার সেটাই হবে। ’
উল্লেখ্য, রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি সড়কে গত ২ ডিসেম্বর একটি দ্রুতগতির গাড়ির চাপায় আহত হন সার্জেন্ট মহুয়ার বাবা মনোরঞ্জন হাজং। তাঁকে উদ্ধার করে শ্যামলীর পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুরুতর অবস্থার কারণে অস্ত্রোপচার করে তাঁর ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এরপর শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মনোরঞ্জন হাজং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার। ঘটনার পর তাঁর মেয়ে মহুয়া হাজং বনানী থানায় একাধিকবার মামলা করার জন্য গেলেও পুলিশ মামলা নিতে রাজি হয়নি। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে মানুষ। পরে বাধ্য হয়ে ঘটনার ১৪ দিন পর গত ১৬ ডিসেম্বর মামলা নেয় বনানী থানা।
বিএসডি/জেজে