মাসুদ পারভেজ
দীর্ঘ প্রায় ১৭ মাসের অঘোষিত ছুটিতে আছি। যার জন্য একমাত্র দায়ী কোভিড কাল। দীর্ঘ এই অবসরের মরুভুমিতে নানান ধরনের কর্মকাণ্ডের সাক্ষী আমরা। কিছু বিষয় খুবই ইতিবাচক ছিলো। যদি উল্লেখযোগ্য ধরি তন্মধ্যে, মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়িয়েছে, ডাক্তার বন্ধুদের অতিমানবীয় ভূমিকা, প্রকৃতির স্বরূপে ফেরার ইঙ্গিত, টেকনোলজির সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সহ আরও অনেক কিছুই…. আমি ব্যক্তিগত ভাবে প্রফুল্ল রেখেছিলাম সাহিত্য সাধনায় নিজেকে নিমজ্জিত রেখে। সাহিত্য মানুষকে পূর্বের সাথে বর্তমানের সংযোগ ঘটিয়ে দেয়। অনেক গুণী-কালজয়ী লেখকদের সাথে পরিচয় ঘটায়। সাহিত্য মনের খোরাক ।একটা মুমূর্ষু আত্নার পুনর্জাগরণ ঘটাতে সক্ষম।
আমরা যারা যে পেশারই হই না কেন, দিনশেষে প্রশান্তি খুঁজি। প্রশান্তির উৎস যদি সাধারণভাবে চিন্তা করি তাহলে হয় সেটা নির্জন প্রকৃতি নইলে সাহিত্যের সাগরে নিহিত থাকে। এটাই স্বাভাবিক। আমরা যারা উচ্চ শিক্ষাপ্রার্থী ছাত্র-ছাত্রী আছি, এই অবসর সময়ই সুবর্ণ সুযোগ। কাজে লাগাতে হবে। প্রচন্ড ভাবে নিজেদের সাহিত্যের সাথে জড়িয়ে ফেলতে হবে। সাহিত্যের রস নিংড়ে নিতে হবে। তাহলে আবারও হয়তো ফিরে আসতে পারে নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, জসীমউদ্দিন, কিংবা হুমায়ুন আহমেদের মতো দাপুটে সাহিত্যিক। এই সমৃদ্ধ বাংলা সাহিত্যের বিকাশ ঘটাতে এবং এই সাহিত্য ভান্ডারের সুরক্ষা কান্ডারী হয়ে যুগে যুগে ফিরে আসুক কোভিড কালে বন্দী হওয়া আমাদের এই মুক্ত পাখিগুলো থেকে।
লেখক- মাসুদ পারভেজ
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ,ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি