লাইফস্টাইল ডেস্ক,
ফল ভিটামিন এবং খনিজের অন্যতম সেরা উৎস। প্রতিদিন তাজা অন্তত দুটি ফল খেলে তা আপনাকে সুস্থ এবং ফিট রাখতে সাহায্য করবে। ফল খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে, শরীরের ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। খাবার থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি গ্রহণের জন্য খাবারের তালিকা মেনে খাওয়ার পাশাপাশি ফলও নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে একবাটি তাজা ফল আপনাকে সুস্থ রাখবে। তবে তা খেতে হবে সূর্যাস্তের আগেই।
কেন সূর্যাস্তের আগে ফল খাওয়া উচিত
লাইফস্টাইল এবং ওয়েলনেস কোচ লুক কৌতিনহো সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীদের জানান, কেন সূর্যাস্তের আগে ফল খাওয়া উচিত। লুক লিখেছেন যে, প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসারে সন্ধ্যায় ফল খেলে তা ঘুমের সময়সূচি এবং হজম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।
আমরা জানি যে বেশিরভাগ ফলই সাধারণ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। এর অর্থ হলো, সেগুলো ভেঙে ফেলা যায়। ফল দ্রুত শক্তির একটি দুর্দান্ত উত্স, তবে এটি রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়িয়ে তোলে। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণে এটি ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে। এছাড়া, সূর্যাস্তের পর আমাদের বিপাক ধীর হয়ে যায় এবং কার্বস হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে। সুতরাং, কার্বোহাইড্রেট খাওয়া সীমিত করা ভালো।
ফল খাওয়ার সঠিক সময়
লুকের মতে, ফল খাওয়ার সর্বোত্তম সময় হলো ভোরে খালি পেটে। রাতের খাবার এবং সকালের খাবারের মধ্যে প্রায় দশ ঘণ্টা ব্যবধান থাকে। তাই আমরা যখন ঘুম থেকে উঠি তখন আমাদের পেট থাকে খালি। তাই সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে যাতে অধিকতর পুষ্টি গ্রহণ করা সহজ হয়। এতে বিপাক প্রক্রিয়া বা মেটাবলিজমও ভালো হবে। বিশেষজ্ঞের মতে, খাবারের সঙ্গেও ফল যোগ করা উচিত নয় বা খাবারের পরপরই খাওয়া উচিত নয়। খাবার এবং ফল খাওয়ার মাঝে অন্তত দুই-তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। সাধারণ কার্বোহাইড্রেটগুলো সকালে এবং ওয়ার্কআউট পরবর্তী সময়ে খাওয়া ভালো। চর্বি, প্রোটিন এবং কম জটিল কার্বোহাইড্রেটগুলো সূর্যাস্তের পরে খাওয়া ভালো।
ফল কি অন্য খাবারের সঙ্গে খাওয়া যাবে?
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, অন্যান্য খাবারের সঙ্গে ফল মিশিয়ে না খাওয়ার। এটি দুধ বা সবজির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়। দুধ বা শাক-সবজির সঙ্গে ফল খেলে শরীরে টক্সিন তৈরি হতে পারে। ফল ঠিকভাবে হজম না হওয়া এবং পুষ্টি শোষণ করতে না পারার কারণে এটি ঘটে। শরীরে টক্সিন বেড়ে গেলে তা স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
বিএসডি/এএ