আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘ দুই দশক যাবত চলা সংঘাতের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র আফগানিস্তানে বিদ্যমান সংকটের সমাধান না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উগ্রবাদী সশস্ত্র সংগঠন তালিবান যোদ্ধাদের দমনের নামে যুক্তরাষ্ট্র আফগান যুদ্ধ শুরু করলেও কার্যত তারা এখনো অনেক শক্তিশালী। প্রতিদিনই আফগান সরকারের হাত থেকে একের পর এক এলাকা যাচ্ছে তালিবান বাহিনীর দখলে। এতেই বিপাকে পড়ছেন সাধারণ আফগান জনগণ।
যদিও সংকটের সমাধান না করেই যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করায় নিজের কোনো আফসোস নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকালে তিনি গণমাধ্যমে কথাটি বলেন। এ সময় সাম্প্রদায়িক ঐক্য গড়ে তুলতে এবং নিজ জাতির জন্য যুদ্ধ করতেও আফগান নেতাদের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
দীর্ঘ দুই দশকের যুদ্ধের পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীসহ সকল বিদেশি সৈন্যকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেশজুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে তালিবান যোদ্ধারা। এখন পর্যন্ত দেশটির ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে কমপক্ষে ৮টি তালিবান গেরিলাদের দখলে চলে গেছে। খুব দ্রুত এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ দিকে তালিবান বাহিনীর ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসা অনেক আফগান নাগরিক এখন অবস্থান করছেন অস্থায়ী শিবিরগুলোতে। যদিও মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের জো বাইডেন বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে করা সকল অঙ্গীকারই মার্কিন প্রশাসন পালন করছে। এর মধ্যে রয়েছে- আকাশপথে ঘনিষ্ঠ সহায়তা (তালিবানের ওপর বিমান হামলা), সামরিক বেতন পরিশোধ এবং আফগান বাহিনীর কাছে খাদ্য ও অস্ত্র সরবরাহ করা।
যদিও তিনি দাবি করেছেন, তাদেরকে (আফগান বাহিনী) এখন নিজেদের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনী ও তালিবান যোদ্ধাদের মধ্যে চলমান যুদ্ধে গত মাসে এক হাজারেরও অধিক আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এছাড়া চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, আফগানিস্তানের শিশুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। এই সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিএসডি/এমএম