নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবশেষে বেওয়ারিশ হিসেবেই শেষ বিদায় নিল বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩ সন্ত্রাসী।
শুক্রবার ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে কোনো ওয়ারিশ না থাকায় সৎকারের জন্য মরদেহগুলো বান্দরবান পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুদ্দুছ ফরায়েজী জানান, বৃহস্পতিবার লাশগুলোকে রুমা থানার সামনে এবং শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হলেও নিহতদের কোনো স্বজন লাশ নিতে না আসায় পুলিশ বেওয়ারিশ হিসেবে তাদের সৎকারের ব্যবস্থা করে।
বুধবার ২ ফেব্রুয়ারি রাতে বান্দরবানের রুমার বথি ত্রিপুরা পাড়ার কাছাকাছি এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের পর সেনাবাহিনী সদস্যরা পাল্টা গুলি ছোড়ে।
পরে তল্লাশি চালিয়ে এই ৩ যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
গোলাগুলির এই ঘটনায় নিহত হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৮ বীর ব্যাটালিয়নের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে একই ব্যাটালিয়নের সৈনিক ফিরোজ হোসেন।
ঘটনার পরদিন নিহত ৩ সন্ত্রাসীর মরদেহ রুমা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু গত ২ দিনে এই ৩ যুবকের কোনো স্বজনকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে বুধবারের সংঘর্ষে সেনাসদস্য হতাহত হবার ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের মনোবল চাঙা করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার (জিওসি) মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন শুক্রবার দুপুরে রুমা গ্যারিসনে অফিসার ও সৈনিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সময় জিওসি বলেন, নিজের জীবনের চেয়ে দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়াই একজন সৈনিকের কাজ। তিনি বলেন, সৈনিকের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। যতই বিপদ আসুক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য সন্ত্রাসের কাছে মাথানত করবে না।