এর আগে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে গত শনিবার বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করে। এরপর দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন, সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিন-চট্টগ্রাম—এই তিন নৌপথে চলাচলকারী সব ধরনের পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, সতর্কসংকেত প্রত্যাহার করায় আবার পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এতে সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়া দেড় হাজার পর্যটক এখন ফিরে আসতে পারবেন। আজ দুপুরে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী চারটি জাহাজে ৭৭৮ জন পর্যটক সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে গেছেন।
বেড়াতে এসে আটকা পড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, রোববার থেকে সতর্কতা সংকেতের কারণে তিনি ও তাঁর পরিবার দ্বীপে আটকা পড়েন। জাহাজ চলাচলের খবরে তাঁরা স্বস্তি পেয়েছেন। এখন দ্রুত ঢাকায় ফেরার অপেক্ষায় আছেন তাঁরা।
ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহারের পর সেন্ট মার্টিনের সঙ্গে তিনটি নৌপথের জাহাজ চলাচলে আর কোনো বাধা নেই। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
বিএসডি/ এলএল