নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান নিজ দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে সম্প্রতি ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছেন। যার কারণে নিজ দেশের শতাধিক নাগরিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাদের ব্যাংক হিসাব এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, সৌদি আরবের এ দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে দেশি নাগরিকের সঙ্গে বিদেশি বেশ কয়েকজন নাগরিকেরও নাম এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নামও।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, সম্পদ পাচারের দায়ে অভিযুক্ত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নামও রয়েছে। খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করে এরই মধ্যে এক রাজকীয় ফরমানও জারি করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সম্পদ বিদেশ পাচার এবং ব্যক্তিগত কাজে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে খালেদা জিয়া ও নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং খালেদা জিয়া অবৈধ অর্থের মাধ্যমে সৌদি আরবে বিভিন্ন সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, সৌদি আরবসহ খালেদা জিয়ার পরিবার বিভিন্ন দেশে ১২ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি ক্রয় করেছে। এরমধ্যে সৌদি আরবের আলফালা শপিংমলসহ কয়েকটি বহুতল ভবন কিনেছেন খালেদা জিয়া। এসব ভবন তার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো তত্ত্বাবধান করতেন।
সৌদি আরবের জাতীয় দুর্নীতিবিরোধী কমিশন জানিয়েছে, এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকার করেছে কমিশন।
তাদের ভাষ্য, তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে না। এতে তদন্ত কাজ ব্যাহত হতে পারে। তদন্ত শেষে আইন অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথাও কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিএসডি/এমএম