আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছ থেকে ২০০ কোটি ডলার নিয়েছেন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক দৈনিক দ্য নিউ আরব।
অবশ্য সরাসরি এই লেনদেন তারা করেননি। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) থেকে কুশনারের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এই টাকা পাঠানো হয়েছিল ২০১৯ সালে। নিজ পদাধিকার বলে পিআইএফের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে আছেন সৌদি যুবরাজ।
দ্য নিউ আরবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে সৌদি রাজপরিবারের প্রধান সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাশুগজির মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তাকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। অবশ্য সৌদি যুবরাজ বরাবরই এ হত্যার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে আসাছেন।
তবে ওই সময় থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠতে থাকে তার।
২০১৯ সালে পিআইএফ ও কুশনারের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই লেনদেন সম্পন্ন হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, খাশুগজির মৃত্যুর পর বিপদের মুখে পড়া সৌদি যুবরাজ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতা পেতেই কুশনারের প্রাতিষ্ঠানে এই টাকা পাঠিয়েছিলেন। সে সময় ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন জ্যারেড কুশনার।
পিআইএফের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালে সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন কুশনার। সেসময় এই আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত আলোচনা হয় উভয়ের মধ্যে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, কুশনারের প্রতিষ্ঠানে মোট ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। তারই প্রথম কিস্তি ছিল এই ২০০ কোটি ডলার।
লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত হতে সৌদি রাজপরিবার ও কুশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল দ্য নিউ আরব, তবে কোনো পক্ষই মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এদিকে, গত জুলাই মাসে ‘এফিনিটি পার্টনারস’ নামে একটি নতুন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান খুলেছেন জ্যারেড কুশনার। এই প্রতিষ্ঠানটির সদর দফতর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি শহরে।
তার শ্বশুর ডোনাল্ড ট্রাম্পও ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।