নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপনে অবশেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল দেয়ালিকা’ স্থাপনের নির্দেশসহ বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা দেওয়া হয়। পূজা ছুটি শেষে স্কুল-কলেজ খুললেই উদযাপিত হবে শেখ রাসেল দিবস।
নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী ১৮ অক্টোবর, শেখ রাসেল দিবস। এ উপলক্ষে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল দেয়ালিকা’ করার জন্য একটি স্থায়ী স্থান নির্ধারণ করতে হবে। বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসবকে কেন্দ্র করে ওই স্থানে কবিতা, সৃষ্টিশীল লেখা ও ছবি উপস্থাপন করা হবে। প্রথম দেয়ালিকা প্রকাশিত হবে অক্টোবরের মধ্যে এবং তার প্রতিপাদ্য হবে ‘শেখ রাসেল দিবস’।
তবে ১১-২০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্গাপূজার ছুটি থাকবে। ইতোমধ্যে ছুটি ঘোষণাও করা হয়েছে। স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণার পর অবশেষে শেখ রাসেল দিবস উদযাপনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।
তবে পূজার ছুটিতে দিবসের কর্মসূচি পালনে অনিশ্চয়তার কথা জানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা। বন্ধের মধ্যে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা নিয়ে তারা শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। এরপরই দিবসটি পালনে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হলো।
নির্দেশনায় বলা হয়, ২০ অক্টোবরের পর যেদিন শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে, সেদিনই তারা তাদের ছবি ও লেখাগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের কাছে জমা দেবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের তত্ত্বাবধানেই লেখা ও ছবি নিয়ে দেয়ালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
শেখ রাসেল দিবস ঘোষণা করে ‘ক’ শ্রেণিভু্ক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকার ঘোষিত প্রথমবারের মত শেখ রাসেল দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেওয়া জাতীয় কর্মসূচির সাথে দেয়ালিকা প্রকাশ ও স্থান নির্ধারণের কর্মসূচি উদযাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মাউশির এক নির্দেশনায় বলা হয়, সরকার প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর এ দিবস পালন করবে। শেখ রাসেল দিবস পালন/উদযাপনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২৭ সেপ্টেম্বরের এক পরিপত্রে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত প্রতিপালনের জন্য সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিএসডি / আইকে